পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার একটি সেনানিবাসে জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন হামলাকারীসহ মোট ১২ জন।

নিহতদের মধ্যে  হামলাকারী ৬ জন, বাকিরা বেসামরিক এবং হামলার শিকার। এই বেসামরিকদের মধ্যে ৪ জন শিশু ও ২ জন নারী রয়েছেন। খবর ইন্ডিয়া টিভির।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় সেনা নিবাসের ওই এলাকায় দু’টি বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি ঢুকে পড়ে। তারপরপরই ঘটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের শক্তিশালী ধাক্কায় কাছের একটি মসজিদ ও একটি বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে।

তিনি দাবি করেছেন, ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে সেনানিবাস ও আশপাশের নিরীহ মানুষদের লক্ষ্য করে ঘটানো হয়েছে। হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল অস্থিতিশীলতা তৈরি করা।

পাকিস্তানের নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এই হামলার সঙ্গে যুক্ত। নিহত ৬ হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে, এবং তারা টিটিপির সদস্য ছিলেন। হামলার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। আহতদের দ্রুত স্থানীয় ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন আরও ২৫ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এক মুখপাত্র।

এই হামলার আগের দিন সোমবার খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঘটেছিল। এতে স্থানীয় শীর্ষ তালেবান নেতাসহ নিহত হয়েছিলেন ৬ জন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রোহিঙ্গাদের খাবারের বরাদ্দ অর্ধেকের বেশি কমালো জাতিসংঘ

আগামী এপ্রিল মাস থেকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক খাবারের বরাদ্দ (রেশন) অর্ধেকের বেশি কমানোর পরিকল্পনা করছে জাতিসংঘ। বুধবার সংস্থাটির সহযোগী সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) লিখিতভাবে বাংলাদেশকে এ কথা জানিয়েছে।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ডব্লিউএফপি গত মঙ্গলবার মৌখিকভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য মাথাপিছু রেশন কমানোর কথা জানিয়েছিল। রেশন কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ (বুধবার) সংস্থাটি চিঠি দিয়েছে। ফলে আগামী ১ এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গারা মাথাপিছু সাড়ে ১২ ডলারের পরিবর্তে ৬ ডলার পাবে রেশন হিসেবে।

তহবিলের ঘাটতির কারণে ডব্লিউএফপি রোহিঙ্গাদের জন্য রেশন কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, চিঠিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতি মাসে সাড়ে ১২ ডলার বরাদ্দ রাখার চেষ্টা করছে; কিন্তু তারা দাতা খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে ঢাকায় ডব্লিউএফপির এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বুধবার জানায়, সামনের সপ্তাহগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ সংগ্রহ করলে রোহিঙ্গাদের জন্য রেশনে কাটছাঁটের বিষয়টি এড়ানো যেতে পারে। ডব্লিউএফপি এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য দাতাদের কাছে ৮১ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা চেয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য মাথাপিছু ছয় ডলারের রেশন বরাদ্দের ফলে ন্যূনতম বেঁচে থাকার স্তর নিচে নেমে যাবে এবং মৌলিক খাদ্যের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ