কক্সবাজারের টেকনাফের গহীন পাহাড়ে অপহরণকারী চক্রের একটি আস্তানা থেকে ১১ জন নারী ও শিশুকে যৌথ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও নৌবাহিনী।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

এর আগে, টানা দুইদিনের অভিযানে বন্ধুত্বের ফাঁদে পড়ে অপহৃত দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় মুক্তিপণের টাকা উদ্ধারসহ অপহরণ চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়। পরে নৌবাহিনীর নেতৃত্বে চালানো যৌথ অভিযানে অপহৃত ৯ নারী ও দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন:

যশোরে ঈদ সামনে রেখে ৭০০ পুলিশ মোতায়েন হবে: ভারপ্রাপ্ত এসপি 

ঈদের ছুটিতে দেশে এসে সড়কে ঝরল ২ যুবকের প্রাণ

ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি চক্র একই পরিবারের ১১ জনকে অপহরণ করে। অপহরণকারীরা দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুকের ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। অভিযানের সময় যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী চক্রটি পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃতদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, “এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” 

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র অপহরণ অপহরণক র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুত্বের ফাঁদে অপহৃত ২ জনকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

কক্সবাজারের টেকনাফে বন্ধুত্বের ফাঁদে পড়ে অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় মুক্তিপণের টাকাসহ অপহরণ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হলিদাবাগ এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে মো. সবুজ মামুন (৩০) এবং তার ভাইয়ের ছেলে মেহেদী হাসান টিটু (৩০) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের আবদুল আমিনের সঙ্গে দুই বছর ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ছিলেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমিনের আমন্ত্রণে মামুন ও টিটু টেকনাফে বেড়াতে আসেন। 

আবদুল আমিন পূর্বপরিকল্পিতভাবে দুই বন্ধুকে রোহিঙ্গা অপহরণ চক্রের হাতে তুলে দেন। এরপর তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পরে নির্যাতন করার ভিডিও পাঠিয়ে মামুনের স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও তাদের মুক্তি মেলেনি।

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা

গহীন পাহাড়ে অপহরণকারীদের আস্তানা, উদ্ধার ১১ নারী ও শিশু

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ২ মার্চ মামুনের বোন সুলতানা বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। প্রযুক্তির সহায়তায় টেকনাফের একটি পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে গত ২ মার্চ অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার এবং অপহরণ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার মৃত ইসলাম মিয়ার ছেলে খোরশেদ আলম (৩৫), হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. ইউসুফ (৩০), মৌলভীবাজার এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. ফয়সাল (১৯)।

পুলিশের তথ্যমতে, টেকনাফ ও উখিয়ায় অপহরণের ঘটনা বাড়ছে। গত ১৪ মাসে টেকনাফ থেকে ২৪০ জন এবং উখিয়া থেকে ৮৭ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে টেকনাফের জাহাজপুরা এলাকায় ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ ফারুক (১৬) অপহৃত হন। এখনো তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, টেকনাফ ও উখিয়ায় অপহরণ চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্ধুত্বের ফাঁদে অপহৃত ২ জনকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
  • ফতুল্লায় চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, উদ্ধার করলো এলাকাবাসী
  • বেড়াতে আসা বন্ধুকে তুলে দিলেন অপহরণকারীদের হাতে, এরপর যেভাবে উদ্ধার
  • প্রেমিকার সাবেক স্বামীর ফাঁদে প্রাণ গেছে তাজকীরের