আজ কেমব্রিজে ম্রো ভাষার সিনেমা ‘কিওরি পেক্রা উও’
Published: 5th, March 2025 GMT
কেমব্রিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হচ্ছে ম্রো ভাষার চলচ্চিত্র ‘কিওরি পেক্রা উও’; ছবিটির ইংরেজি নাম ‘ডিয়ার মাদার’। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছবির নির্মাতা জানান, ৫ মার্চ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় ইন্ডিজিনিয়াস স্টাডিজ গ্রুপ কেমব্রিজের আয়োজনে ছবিটি প্রদর্শিত হবে।
২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ৬৭ মিনিটের চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হয়েছে। পাশাপাশি সিনেমাটি কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরার মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়েছে। এবার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী হচ্ছে।
চলচ্চিত্রটিকে আমস্টারডামের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সোশ্যাল সায়েন্স এটি সংরক্ষণ করেছে, যাতে এটি ভবিষ্যতে গবেষক ও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে ওঠে।
সিনেমার দৃশ্য। ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র প রদর শ ত ক মব র জ
এছাড়াও পড়ুন:
৮৭ বছর বয়সে পড়তে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে
যে বয়সে মানুষ জীবনের পাওয়া না–পাওয়ার হিসাব কষতে বসেন, সেই বয়সে নতুন এক অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন ৮৭ বছর বয়সী কিম গ্যাপ-নিও। দক্ষিণ কোরিয়ার এই নারী আগামী মাসে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শুরু করতে চলেছেন।
জীবন সব সময়ই কিমের সামনে কঠিন রূপ নিয়ে এসেছে। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের চাপে ছাড়তে হয় লেখাপড়া। কিশোর বয়সে বিয়ে করবেন না বলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন, শুরু হয়েছিল নতুন এক সংগ্রাম।
জীবনভর সাহসের সঙ্গে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে গেছেন কিম। তবে সব সময় মনের কোণে লালন করেছেন ছোটবেলার অপূর্ণ এক ইচ্ছা।
কিমের জন্ম ১৯৩৮ সালে। কোরিয়া জাপানের দখলমুক্ত হওয়ার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে শুরু করেন কিম। কিন্তু ছোট ভাইবোনদের লালন-পালনের জন্য মায়ের আদেশে লেখাপড়ার ইতি টানতে হয় তাঁকে। কিমের ১৭ বছর বয়সে তাঁর বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের সংকট আরও গভীর হয়। মা তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দেন।
তবে বিয়েতে মোটেই রাজি ছিলেন না কিশোরী কিম। বাড়ি থেকে পালিয়ে বুসানে চলে যান, একটি জুতার দোকানে কাজ নেন। এক বছর পর সেখান থেকে চলে যান সিউলে। সেখানে করেছেন নানা কাজ। বিয়ে করেন, জন্ম হয় পাঁচ মেয়ের। স্বামী অসুস্থ থাকায় পাঁচ মেয়েকে বড় করার দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই বর্তায়।
১৫ বছর রোগে ভুগে স্বামী যখন মারা যান, তখন কিমের বয়স ৪৭। তখনো তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এভাবে দায়িত্ব পালন করতে করতে ৮০ বছর বয়স হয়ে যায় তাঁর।
তত দিনে অবশ্য দায়িত্ব থেকে খানিকটা ফুরসত মিলেছে। কিম সিদ্ধান্ত নেন, বিদ্যালয়ে ফিরবেন। এক বন্ধুর সহযোগিতায় ভর্তি হন ইয়াংওন এলিমেন্টারি স্কুলে। যাঁরা শৈশবে লেখাপড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন, তাঁদের ওই স্কুলে ভর্তি নেওয়া হয়। এরপর ইলসাং উইমেন্স হাইস্কুলে।
বিদ্যালয়ের দিনগুলো দারুণ কেটেছে জানিয়ে এই বৃদ্ধা বলেন, স্কুলব্যাগ কাঁধে ঝোলালেই নিজেকে কিশোরী মনে হতো।
সহপাঠীদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন কিম, ইতিহাস পড়তে ভালোবাসতেন। অংক আর ইংরেজি শিখতে বেশ কষ্ট হয়েছে বলে জানান। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে সাফল্যের সঙ্গে হাইস্কুল পাস করেন কিম।
আগামী মাসে সুকমইয়াং উইমেন্স ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার অপেক্ষায় আছেন এই নারী, পড়বেন সমাজ কল্যাণ নিয়ে। কিম বলেন, ‘আমার কোনো লক্ষ্য নেই। আমি শুধু পড়তে ভালোবাসি, আর মানুষের সঙ্গে থাকতে।’