রংপুরে প্রতিদিন ইফতার করছে দুই শতাধিক অসহায়
Published: 5th, March 2025 GMT
পবিত্র রমজানে অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন রংপুরের সাবেক নারী ক্রিকেটার আরিফা জাহান বীথি। মাসজুড়ে প্রতিদিন দুই শতাধিক রোজাদার অসহায় ব্যক্তিকে বিনামূল্যে ইফতার করানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। গত সোমবার রংপুর নগরীর ঘনবসতিপূর্ণ স্টেশন পাটবাড়ি ও খেড়বাড়ি এলাকায় দুস্থ, এতিম ও তাদের বৃদ্ধ মা-বাবাসহ কর্মহীন দুই শতাধিকের বেশি রোজাদারকে নিয়ে ইফতারের আয়োজন করে বীথির প্রতিষ্ঠিত উইমেন্স ড্রিমার ক্রিকেট একাডেমি অ্যান্ড হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন। তার আগের দিন বদরগঞ্জে অসহায় দুস্থ, এতিম, বৃদ্ধসহ কর্মহীন আড়াই শতাধিক রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানো হয়।
রোজার প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া বীথির এই ইফতার কার্যক্রম চলবে রোজার শেষ দিন পর্যন্ত। পুরো রমজান মাসে ছয় হাজার রোজাদারকে ইফতার করানোর চেষ্টার কথা জানিয়েছেন বীথি। এই উদ্যোগের কথা বীথি ফেসবুকে জানানোর পর বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন। সামর্থ্যবান অনেকেই এগিয়ে এসেছেন তাঁকে সাহায্য করতে।
আরিফা জাহান বীথি ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে খেলেছেন। ২০১৭ সালে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে ক্রিকেট ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর রংপুরে ফিরে ২০১৯ সালে জেলা স্টেডিয়ামে নারীদের জন্য উইমেন্স ড্রিমার ক্রিকেট একাডেমি গড়ে তোলেন। বর্তমানে সেখানে কয়েকশ নারী ক্রিকেটারকে বিনামূল্যে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি। যুক্ত আছেন আরও সামাজিক কর্মকাণ্ডে। সাবেক এই ক্রিকেটার জানান, ইফতারের একেকটি প্যাকেটের খরচ পড়ছে ৮০ টাকা। প্রতিদিন ২০০ রোজাদারের জন্য খরচ লাগছে ১০ হাজার টাকা। পুরো এক মাসে, অর্থাৎ রমজানের ৩০ দিনে সর্বমোট খরচ পড়বে তিন লাখ টাকা। প্রথম রোজা থেকে এ পর্যন্ত বদরগঞ্জ, হারাগাছ, রংপুর নগরে বিভিন্ন এলাকায় ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইফত র ই শত ধ ক ইফত র ক অসহ য়
এছাড়াও পড়ুন:
বদরগঞ্জে বিএনপির কর্মী লাভলু হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির সক্রিয় কর্মী লাভলু মিয়া হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে বদরগঞ্জ পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের কেউ কেউ বদরগঞ্জ-রংপুর সড়কে শুয়ে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা মামলার অন্যতম আসামি স্থানীয় কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল হক ওরফে মানিককে অপসারণের দাবিতে বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি স্মারকলিপি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ওই ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে স্মারকলিপি পেয়েছেন। এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৫ এপ্রিল দুপুরে বদরগঞ্জ পৌর শহরের একটি টিনের দোকানকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপির কর্মী লাভলু মিয়া (৫২) নিহত হন। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে রায়হান কবির বাদী হয়ে পরদিন স্থানীয় কালুপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল হকসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ মোরছালিন হোসেন নামের একজন ছাড়া এজাহারনামীয় অন্য আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ওই আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৮ এপ্রিল থেকে বদরগঞ্জে নিয়মিত আন্দোলন করে আসছেন উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা। বদরগঞ্জ শহীদ মিনারের পাশে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলা আজকের কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন রংপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির সাবেক নেতা মোহাম্মদ আলী সরকার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, নিহত লাভলুর স্ত্রী রায়হানা বেগম, মেয়ে লাবনী আক্তার, সাবেক বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের নেতা আবুজর গেফারী, বিএনপি নেতা সুমন মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও আশরাফুল আলম প্রমুখ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ এপ্রিল প্রকাশ্য দিবালোকে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হকের নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বিএনপির কর্মী লাভলু মিয়াকে। পুলিশ রহস্যজনক কারণে মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে বদরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল আমিন সরকার বলেন, হত্যা মামলার এজাহারনামীয় এক আসামিসহ সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মূল আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত।