Samakal:
2025-04-25@05:04:49 GMT

ডিজিটাল লেনদেনের ৮০% ঢাকায়

Published: 4th, March 2025 GMT

ডিজিটাল লেনদেনের ৮০% ঢাকায়

দেশের মধ্যে ডিজিটাল লেনদেনের বেশির ভাগই ঢাকায় হচ্ছে। গত বছর মোট ডিজিটাল লেনদেনের ৮০ শতাংশ এবং মোট ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ হয়েছে ঢাকায়। তবে গাজীপুর, রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহেও ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে। ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা প্রদানে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসা এ তথ্য দিয়েছে। 
ভিসা বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সামগ্রিক ব্যয় ১৪ শতাংশ এবং লেনদেনের পরিমাণে ১৭ শতাংশ বেড়েছে। ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড ব্যবহারের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এবং এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে অনলাইনে পেমেন্ট প্রদান।  
এ নিয়ে ভিসা বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সর্বশেষ ট্রেন্ড বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মানুষ ডিজিটাল ও কন্টাক্টলেস পেমেন্ট সুবিধার দিকে ঝুঁকছে। ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড, অনলাইন এবং ইন-স্টোর পেমেন্টসহ দেশের মধ্যে ও আন্তর্জাতিক পরিসরে একই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। আমাদের দক্ষ ভিসা কনসাল্টিং ও অ্যানালিটিকস টিমের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের ভোক্তা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ ডিজিটাল পেমেন্ট সুবিধা প্রদান করছি।’
ক্রস-বর্ডার ব্যয় নিয়ে ভিসার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ব্যয়ের ৯০ শতাংশই হয়েছে ২০টি দেশে। এ ক্ষেত্রে শীর্ষ পাঁচ দেশ হচ্ছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত বছর বাংলাদেশিরা ইন-স্টোর কেনাকাটায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে ভারত, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে। ভারত ক্রস-বর্ডার ব্যয়ের শীর্ষে থাকলেও ২০২৪ সালে বাংলাদেশিদের কার্ডের মাধ্যমে ভারতে ব্যয় ১০ শতাংশ কমেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা থাইল্যান্ডে ব্যয় ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল নদ ন র

এছাড়াও পড়ুন:

অর্থ উপদেষ্টার কাছে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিকারকদের ৬ দাবি

হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্যপণ্য রপ্তানিতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে ছয়টি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)। সংগঠনটির সভাপতি মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী এক চিঠিতে এ খাতে বিদ্যমান সমস্যা দূর করতে অর্থ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বিএফএফইএর নেতাদের একটি সভা হয়। হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্যপণ্য রপ্তানিতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে অর্থ উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বিএফএফইএর নেতাদের আরেকটি সভা হয়। সভায় হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্য রপ্তানি খাতের বকেয়া নগদ সহায়তার অর্থ বিশেষ বিবেচনায় পৃথকভাবে দ্রুত ছাড় করা এবং পাট শিল্পের মতো বকেয়া ঋণ এক হিসেবে স্থানান্তরের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

বিএফএফইএর সভাপতির চিঠিতে দীর্ঘ দিনের বকেয়া নগদ সহায়তার অর্থ দ্রুত ছাড় করার বিষয়ে বলা হয়েছে, হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রপ্তানি খাতের কাঁচামাল শতভাগ কৃষিজাত পণ্য। প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে কিনে দেশের শতাধিক হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করা হচ্ছে। এটা শতভাগ মূল্য সংযোজিত পণ্য। এ খাত শতভাগ দেশীয় কাঁচামাল থেকে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের খাত। সরকার প্রদত্ত নগদ সহায়তা এ খাতের কোনো লভ্যাংশ নয়। কাঁচামালের স্বল্পতার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে মাছের মূল্য বেশি থাকায় কারখানায় পণ্যের ক্রয়মূল্য বৃদ্ধি পায়। তদুপরি বিভিন্ন সময় আওতাবহির্ভূত সমস্যার কারণে, যেমন: করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে চিংড়ি ও মাছের মূল্য হ্রাস পাওয়ায় এ খাতের রপ্তানি অনুকূল অবস্থার পরিবর্তে প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এ খাতের নগদ সহায়তা শুধু দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের লক্ষ্যে রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার সহায়ক মাত্র। প্রায় ১ বছর যাবত অডিট আপত্তির বিষয়টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকায় হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রপ্তানিকারকদের নগদ সহায়তাপ্রাপ্তির কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল। অর্থ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে নিষ্পত্তি হওয়ার ফলে অডিট কার্যক্রম চালু হয়েছে। বর্তমানে এ খাতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে অডিটকৃত ১৩৮ কোটি টাকা বকেয়া আছে, যার ফলে রপ্তানিকারকদের তারল্য সংকট সৃষ্টি হওয়ায় রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রান্তিক চাষিদের চিংড়ি ও মাছের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি খাতের অডিটকৃত পাওনা অর্থ দ্রুত ছাড় করার দাবি জানানো হয়েছে।

বিএফএফইএর ছয় দাবি হলো—
১। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ হিসাবের মূল ঋণ ও সুদ পৃথক পৃথক ব্লকড হিসাবে স্থানান্তর করা।

২। ব্যবসা পরিচালনার জন্য ব্লকড হিসাবে স্থানান্তরের ফলে ঋণ হিসাবে সৃষ্ট কুশন অনুযায়ী ড্রইং সুবিধা অনুমোদন করা।

৩। মূল ঋণের জন্য সৃষ্ট ব্লকড হিসাব দুই বছরের সুদবিহীন মরেটরিয়াম সুবিধাসহ ত্রৈমাসিক কিস্তিতে ১০ বছরে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া।

৪। ‘কস্ট অব ফান্ড’ বিবেচনায় মূল ঋণের জন্য সৃষ্ট ব্লকড হিসাবে ৯ শতাংশ হারে বাৎসরিক ভিত্তিতে সুদ আরোপের সুযোগ দেওয়া।

৫। সুদের জন্য সৃষ্ট ব্লকড হিসাব দুই বছরের মরেটরিয়াম সুবিধাসহ বিনা সুদে ত্রৈমাসিক কিস্তিতে ১০ বছরে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া।

৬। ঋণ হিসাব পুনঃতফশিলের জন্য প্রচলিত ডাউন পেমেন্টের হার শিথিল করে মূল ঋণের ওপর ২ শতাংশ হারে ডাউন পেমেন্ট পরিশোধের সুযোগ দেওয়া।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গৃহকর নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে বাসিন্দাদের হট্টগোল
  • রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে
  • ফুটবলার মোরসালিনের বিবাহ বিচ্ছেদ, স্ত্রীর মামলা প্রত্যাহার
  • আইপিডিসি ফাইন্যান্সের এজিএমের সময় পরিবর্তন
  • অর্থ উপদেষ্টার কাছে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিকারকদের ৬ দাবি
  • বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • বাটা সুর ৪৪৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • রাষ্ট্র পাপ করলে রক্ত দিয়ে পরিস্কার করতে হয়: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
  • লরিয়াসে বর্ষসেরা উদীয়মান ইয়ামাল, সেরা দল রিয়াল
  • ঢাকাবাসী গত ৯ বছরে মাত্র ৩১ দিন নির্মল বাতাসে নিশ্বাস নিয়েছেন