রমজান উপলক্ষে ‘হোটেল সারিনা ঢাকা’ ইফতারের বিশেষ আয়োজন করেছে। তাদের সামারফিল্ডস রেস্তোরাঁয় প্রতিদিন থাকছে স্বাস্থ্যকর ইফতারি ও রাতের খাবারের বিশেষ আয়োজন। ইফতার আয়োজন চলবে মাগরিবের আজান থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।
গ্রাহকদের সুবিধার জন্য নির্দিষ্ট ব্যাংকের কার্ডহোল্ডারদের জন্য থাকছে বোগো অফার। যেখানে একটির দাম পরিশোধ করে খেতে পারবেন দু’জন এবং তিনজন (কার্ডভেদে)। খরচ করতে হবে ৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। আবার একজনের বুফে দাম পরিশোধ করলে খেতে পারবেন পাঁচ থেকে ছয়জন। খরচ করতে হবে ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। যারা ঐতিহ্যবাহী ইফতারি চান, তাদের জন্য স্ট্রিট ক্যাফেতে থাকছে ইফতার বাজারের বিশেষ আয়োজন। এখান থেকে আপনার পছন্দের ইফতার আইটেম এবং অন্যান্য সুস্বাদু খাবার কিনে নিতে পারবেন। এ ছাড়া যারা বুফে সাহ্রি করতে চান, তাদের জন্যও রয়েছে বিশেষ আয়োজন। হোটেলটির সামারফিল্ড রেস্তোরাঁয় বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ফজর পর্যন্ত থাকবে এই সাহ্রির আয়োজন। বোগো অফারে এখানে থাকছে ৪ হাজার ৯৯৯ টাকায় দু’জন খাওয়ার সুযোগ আর ৬ হাজার ৭০০ টাকায় চার থেকে পাঁচজন খেতে পারবেন। এ অফারটি নিতে পারবেন নির্দিষ্ট ব্যাংক কার্ডে। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রমজ ন র জন য প রব ন ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি
সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।
এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব