শুরু হয়েছে রমজান মাস। রোজার পরেই খুশির ঈদ। এই খুশির একটি অংশ হলো ঈদের কেনাকাটা। ঈদ উপলক্ষে নতুন পোশাক, উপহার, ঘর সাজানোর পণ্য কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ধুম পড়ে যায় সবার মধ্যেই। এ কেনাকাটাকে সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলতে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে পারেন। যেমন–
কেনাকাটার পরিকল্পনা করুন
ঈদের কেনাকাটার আগে পরিকল্পনা করে নেওয়া সবচেয়ে জরুরি। তাই কেনাকাটা শুরু করার আগে কী কী কিনবেন তার একটি তালিকা তৈরি করুন। তাহলে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার প্রবণতা কমবে। এর পাশাপাশি কোথা থেকে কেনাকাটা করবেন তা নির্ধারণ করুন আগেই। এতে আপনার সময় বাঁচবে এবং রোজা রেখে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করার ঝামেলাও কমে যাবে।
বাজেট নির্ধারণ করুন: সামর্থ্য অনুযায়ী আগেই আপনার ঈদ কেনাকাটার বাজেট নির্ধারণ করুন। তালিকা অনুযায়ী কোন জিনিসের জন্য আপনি কত টাকা খরচ করবেন সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখুন। নয়তো পরে মার্কেটে গিয়ে দেখবেন অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিসও পছন্দ হওয়ায় আপনি কিনে ফেলেছেন, কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আর পর্যাপ্ত বাজেট নেই।
অনলাইন ও অফলাইন বাজার যাচাই করুন
ঈদকে সামনে রেখে অনলাইনে এখন বিভিন্ন পণ্যে নানা অফার ও ডিসকাউন্ট চলে। এতে সাশ্রয়ী দামে পণ্য পাওয়া যায়। একই পণ্য বিভিন্ন দোকানে বা ই-কমার্স সাইটে দেখে নেওয়া ভালো। এতে সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে। তবে অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য সাইট থেকে রিভিউ দেখে অর্ডার দেওয়া উচিত।
ফ্যাশন সম্পর্কে জেনে নিন
পোশাক কিংবা আপনার প্রয়োজনীয় যে কোনো জিনিস কেনার আগে জেনে নিন বর্তমান সময়ের কোনটা বেশি চলছে। বর্তমান ফ্যাশন সম্পর্কে জানতে পত্রিকা, ফ্যাশন ম্যাগাজিন কিংবা অনলাইন থেকে আগে খোঁজ নেওয়া ভালো।
অভিজ্ঞ কাউকে নিয়ে যান
কেনাকাটা করতে গেলে অনেক সময় বেশ কয়েকটা পছন্দের জিনিসের মধ্য থেকে একটা পণ্য বেছে নিতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয়। তাই এমন কাউকে কেনাকাটার সময় সঙ্গে রাখুন, যার সঙ্গে পছন্দ মেলে এবং যে আপনাকে দরদাম করার ব্যাপারেও সাহায্য করতে পারবে।
গুণগত মান ও দরদাম যাচাই করুন
ঈদের কেনাকাটায় প্রতারণার শিকার হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই কেনাকাটার সময় পণ্যের মান যাচাই করা জরুরি। একই পণ্য হলে কয়েক দোকান ঘুরে যাচাই করুন। তারপর দরদাম করুন। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য চ ই কর
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইইউ
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্রাসেলস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি । চীনের সংবাদমাধ্যম সিএমজি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ৭০টির বেশি দেশের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সীমিত করার একটি পরিকল্পনা চলছে।
দ্য আইরিশ টাইমস জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের চাওয়া- ইইউ যেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পক্ষ বেছে নেয়। তবে ইউরোপীয় কমিশনের উপমুখপাত্র আরিয়ানা পোদেস্তা স্পষ্টভাবে বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের চীন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
তিনি জানান, চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন। তাঁর পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও বজায় রাখা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ঝুঁকি হ্রাস করা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নয়।
ইউরোপের ভ্যাট এবং টেক জায়ান্টদের বিভিন্ন নিয়মকে অন্যায্য সুবিধা মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে কমিশন বলেছে, ইউরোপের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রশ্নে কোনো আপস হবে না।
ভন ডার লায়েন জানান, বিশ্ব ব্যবস্থা যত অনিশ্চিত হচ্ছে, ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ও ইইউকে বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ব্রুগেলের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রে সাপিরও বলেছেন, মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় ইইউর একটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বাণিজ্য জোট গঠন করা উচিত।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত উন্মুক্ত ও নিয়মভিত্তিক বাণিজ্যের জন্য ইইউ নেতাদের জি-২০ এবং জি-২০-বহির্ভূত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।