Samakal:
2025-03-04@22:13:04 GMT

ঈদ কেনাকাটায় প্রস্তুতি

Published: 4th, March 2025 GMT

ঈদ কেনাকাটায় প্রস্তুতি

শুরু হয়েছে রমজান মাস। রোজার পরেই খুশির ঈদ। এই খুশির একটি অংশ হলো ঈদের কেনাকাটা। ঈদ উপলক্ষে নতুন পোশাক, উপহার, ঘর সাজানোর পণ্য কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ধুম পড়ে যায় সবার মধ্যেই। এ কেনাকাটাকে সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলতে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে পারেন। যেমন–
কেনাকাটার পরিকল্পনা করুন
ঈদের কেনাকাটার আগে পরিকল্পনা করে নেওয়া সবচেয়ে জরুরি। তাই কেনাকাটা শুরু করার আগে কী কী কিনবেন তার একটি তালিকা তৈরি করুন। তাহলে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার প্রবণতা কমবে। এর পাশাপাশি কোথা থেকে কেনাকাটা করবেন তা নির্ধারণ করুন আগেই। এতে আপনার সময় বাঁচবে এবং রোজা রেখে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করার ঝামেলাও কমে যাবে। 
বাজেট নির্ধারণ করুন: সামর্থ্য অনুযায়ী আগেই আপনার ঈদ কেনাকাটার বাজেট নির্ধারণ করুন। তালিকা অনুযায়ী কোন জিনিসের জন্য আপনি কত টাকা খরচ করবেন সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখুন। নয়তো পরে মার্কেটে গিয়ে দেখবেন অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিসও পছন্দ হওয়ায় আপনি কিনে ফেলেছেন, কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আর পর্যাপ্ত বাজেট নেই। 
অনলাইন ও অফলাইন বাজার যাচাই করুন
ঈদকে সামনে রেখে অনলাইনে এখন বিভিন্ন পণ্যে নানা অফার ও ডিসকাউন্ট চলে। এতে সাশ্রয়ী দামে পণ্য পাওয়া যায়। একই পণ্য বিভিন্ন দোকানে বা ই-কমার্স সাইটে দেখে নেওয়া ভালো। এতে সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে। তবে অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য সাইট থেকে রিভিউ দেখে অর্ডার দেওয়া উচিত। 
ফ্যাশন সম্পর্কে জেনে নিন
পোশাক কিংবা আপনার প্রয়োজনীয় যে কোনো জিনিস কেনার আগে জেনে নিন বর্তমান সময়ের কোনটা বেশি চলছে। বর্তমান ফ্যাশন সম্পর্কে জানতে পত্রিকা, ফ্যাশন ম্যাগাজিন কিংবা অনলাইন থেকে আগে খোঁজ নেওয়া ভালো। 
অভিজ্ঞ কাউকে নিয়ে যান
কেনাকাটা করতে গেলে অনেক সময় বেশ কয়েকটা পছন্দের জিনিসের মধ্য থেকে একটা পণ্য বেছে নিতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয়। তাই এমন কাউকে কেনাকাটার সময় সঙ্গে রাখুন, যার সঙ্গে পছন্দ মেলে এবং যে আপনাকে দরদাম করার ব্যাপারেও সাহায্য করতে পারবে।
গুণগত মান ও দরদাম যাচাই করুন
ঈদের কেনাকাটায় প্রতারণার শিকার হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই কেনাকাটার সময় পণ্যের মান যাচাই করা জরুরি। একই পণ্য হলে কয়েক দোকান ঘুরে যাচাই করুন। তারপর দরদাম করুন। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য চ ই কর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজা নিয়ে ট্রাম্পের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করল আরব দেশগুলো

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আরব দেশগুলো। মঙ্গলবার কায়রোতে অনুষ্ঠিত জরুরি আরব সম্মেলনে মিসরের দেওয়া এই পরিকল্পনা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এ কথা জানিয়েছেন।

এই পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা পুনর্গঠনে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের প্রয়োজন হবে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার প্রয়োজন হবে না। এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজার বাসিন্দাদের মিসর ও জর্ডানে পাঠিয়ে গাজায় উপকূলীয় পর্যটন শহর গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন।

সম্মেলনে সিসি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সংঘাত বন্ধ করে শান্তি ফেরাতে সমর্থ হবেন বলে তিনি নিশ্চিত। এই সংঘাতে গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন বড় প্রশ্ন হলো কারা এই উপত্যকা শাসন করবে। এ ছাড়া পুনর্গঠনের কাজে প্রয়োজনীয় শত শত কোটি ডলার কোন কোন দেশ জোগান দেবে।

মিসরের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় প্রশাসন পরিচালনা করবে— স্বতন্ত্র, পেশাদার টেকনোক্র্যাটদের সমন্বয়ে এমন একটি কমিটি গঠনে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কাজ করে আসছেন তিনি।

সিসি বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য মানবিক সহায়তা তদারক এবং উপত্যকাটির বিভিন্ন বিষয় দেখভাল করবে এই কমিটি।

আরও পড়ুনগাজা পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিকল্প প্রস্তুত১৭ ঘণ্টা আগে

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, পরে এ পরিকল্পনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি। তিনি জানান, ছয় মাসের জন্য গাজার প্রশাসন পরিচালনায় গঠিত এই কমিটির প্রধান যিনি হবেন, তাঁকে মনোনীত করা হয়েছে। তবে তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি।

গাজা নিয়ে মিসরের পরিকল্পনা আরব দেশগুলো পুরোপুরি সমর্থন দিয়েছে বলে জানান আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইত। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে মিসরের দেওয়া প্রস্তাবটি সম্মেলনে অনুমোদন পাওয়ায় এখন এটি আরব পরিকল্পনায় পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুনট্রাম্প কি গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসছেন১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মিসরের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত না করার এ ধরনের পরিকল্পনায় সমর্থন দিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসও। ‘ফিলিস্তিনের জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলার’ পদক্ষেপকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। এর মধ্য দিয়ে কার্যত গাজার শাসনভার ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে হামাস।

আরও পড়ুনট্রাম্পের গাজা ‘খালি করার প্রস্তাব’ নিয়ে ইসরায়েল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: নেতানিয়াহু১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ