রান তাড়ায় কি কোহলিই সর্বকালের সেরা
Published: 4th, March 2025 GMT
কোনো না কোনো মাইলফলক এখন তিনি প্রায় প্রতি ম্যাচেই স্পর্শ করেন বা ছাড়িয়ে যান। বিরাট কোহলি এখন ক্যারিয়ারের এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন, ব্যাট হাতে তিনি নামা মানেই যেন নতুন কোনো কীর্তি।
এই যেমন আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালেও একটা নতুন মাইলফলক পেরিয়ে গেছেন ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে খেলেছেন ৯৮ বলে ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। ভারতের জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকাও কোহলির ওই ‘মাস্টারক্লাস’ ইনিংসেরই।
আর এই ইনিংস খেলার পথেই ওয়ানডেতে তাড়া করতে নেমে ৮ হাজার রানের মাইলফলকও পেরিয়ে গেছেন কোহলি। ওয়ানডেতে তাড়া করতে নেমে ৮ হাজারের বেশি রান কোহলি ছাড়া আছে শুধু আর একজনেরই। সেই নামটা অনুমান করাও খুবই সহজ—শচীন টেন্ডুলকার।
আজ ৮৪ রান করে ভারতকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে তুলতে বড় অবদান রেখেছেন কোহলি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সূচক নেমেছে আবারও ৫ হাজারের নিচে
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ১২৫ পয়েন্ট বা প্রায় আড়াই শতাংশ কমে গেছে। তাতে সূচকটি ছয় মাসের ব্যবধানে আবারও ৫ হাজার পয়েন্টের মাইলফলকের নিচে নেমে এসেছে। গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইএক্স সূচকটি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৭৩ পয়েন্টে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ২৮ অক্টোবর ডিএসইএক্স সূচকটি ৪ হাজার ৮৯৯ পয়েন্টের সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল।
এদিকে গত ৯ কার্যদিবস ধরে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের প্রতিদিনই ডিএসইতে সূচক কমেছে। সূচকটি ৫ হাজার পয়েন্টের মাইলফলকের নিচে নেমে আসায় নতুন করে বাজারে আবারও আতঙ্ক ভর করেছে। এ অবস্থায় বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী লেনদেন থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছেন। ফলে লেনদেনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহ শেষে ঢাকার বাজারের লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪ শতাংশ কমেছে। ডিএসইতে গত সপ্তাহ শেষে দৈনিক গড় লেনদেন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪৪ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহে এই বাজারে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৩৯৯ কোটি টাকার। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৫৫ কোটি টাকা বা প্রায় ১৪ শতাংশ।
ঢাকার বাজারে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ৩৯৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩২৪টি বা ৮২ শতাংশেরই দাম কমেছে। দাম বেড়েছে ৫৭টির বা ১৪ শতাংশের, আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫টির বা ৪ শতাংশের। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ছাড়া সব খাতের কোম্পানিরই দরপতন হয়েছে গত সপ্তাহে। ফলে হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া কোনো শেয়ারে বিনিয়োগ করে লাভের দেখা পাননি বিনিয়োগকারীরা। সার্বিকভাবে বাজারে রিটার্ন ছিল ২ শতাংশের বেশি ঋণাত্মক।
মন্দা বাজারে গত সপ্তাহে মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ার। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ৬ টাকা বা প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৪০ পয়সায়। মূল্যবৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল একই খাতের কোম্পানি এনার্জিপ্যাক পাওয়ার। এটির শেয়ারের দাম ৫ দিনে ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৪০ পয়সায়।
গত সপ্তাহে লেনদেনে শীর্ষ অবস্থানে ছিল বিচ হ্যাচারি। গত সপ্তাহে বাজারের মোট লেনদেনের প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশই ছিল কোম্পানিটির দখলে। প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যদিও সপ্তাহ শেষে দাম কমার শীর্ষে ছিল কোম্পানিটি। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সাড়ে ৩৮ টাকা বা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ৫৮ টাকা ৩০ পয়সায়। আগের সপ্তাহে যার দাম ছিল প্রায় ৯৭ টাকা।
টানা দরপতনের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ করেছেন একদল বিনিয়োগকারী। তাঁরা দরপতন ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের(বিএসইসি) নেতৃত্বেরও অপসারণ দাবি করেন।