ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার রান যদি ২৮০’র বেশি হতো তাহলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হলেও হতে পারত। ম্যাচ শেষে অজি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও একই কথা বলেছেন। তবে অনভিজ্ঞ বোলিং ইউনিটের কথাও বলেছেন তিনি।

‘‘আমাদের বোলাররা ভালো করেছে। স্পিনাররা তাদের চেপে ধরেছিল এবং ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেছে। আসলে উইকেটটা কিছুটা ট্রিকি ছিল। সেখানে আমরা ভালো করেছি। পুরো ম্যাচ জুড়ে উইকেট একইরকম ছিল। স্পিনারদের জন্য কিছুটা স্লো ও স্কিড করছিল। তবে ব্যাটিং কন্ডিশনটা সহজ ছিল না। আমার মনে হয় আমরা যদি আর কিছু রান করতে পারতাম। যদি আমাদের ২৮০’র বেশি রান হতো, তাহলে ম্যাচটা ভিন্ন হতে পারব।’’

তিনি একসঙ্গে একাধিক উইকেটের পতন ও অনভিজ্ঞ বোলিং ইউনিটের কথাও বলেন। তবে এই দলটি ভবিষ্যতে ভালো করবে বলেই তার বিশ্বাস, ‘‘আসলে ম্যাচের বেশ কয়েকটি পর্যায়ে এক উইকেট হারানোর পর পর আরও একটি উইকেট হারিয়েছি আমরা। আমাদের বোলিং ইউনিট বলতে গেলে অনভিজ্ঞ ছিল। কিছু ব্যাটসম্যান হাল ধরেছিল। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচে তারা দারুণভাবে প্রভাব বিস্তার করে ব্যাটিং করেছিল। আশা করি ভবিষ্যতে তারা আরও বড় বড় ম্যাচ জিতবে এবং আরও অনেক ভালো করবে।’’

আরো পড়ুন:

ভারতকে ফাইনালে তুলে রোহিতের অনন্য রেকর্ড

মানহীন লিগে ‘অনাপত্তি’ দেবে না বিসিবি

ভারত আগামী রোববার (০৯ মার্চ, ২০২৫) নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচের বিজয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে একই ভেন্যুতে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, বন্ধ মানবিক সহায়তাও

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ঘরবাড়ি ও তাঁবুর মতো আশ্রয়কেন্দ্রও ইসরায়েলি বর্বরতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার দেশটি। পাশাপাশি আট সপ্তাহ ধরে উপত্যকায় খাদ্য, ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। এ পরিস্থিতিকে জাতিসংঘ সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট হিসেবে বর্ণনা করেছে। 

আলজাজিরার সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, বুধবার রাতভর এবং বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মধ্য গাজার নুসেইরাতের কাছে একটি তাঁবুতে তিন শিশু এবং গাজা শহরের একটি বাড়িতে এক নারী ও চার শিশু নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক এক হামলায় স্থানীয় সাংবাদিক সাঈদ আবু হাসানাইনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ২৩২ সাংবাদিক নিহত হলেন।
 
গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে আলজাজিরার তারেক আবু আযুম বলেন, অবরুদ্ধ উপত্যকা স্পষ্টতই ইসরায়েলি সেনা বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের সাক্ষী হচ্ছে। এখানকার অক্ষত ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোও গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকারীরাও অসহায় হয়ে পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের কাছে পৌঁছানোর জন্য তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
 
অধিকৃত পশ্চিম তীর পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘ইসরায়েলের আক্রমণের কোনো বিরতি নেই, কোনো করুণা নেই, কোনো মানবতা নেই।’
 
প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল ত্রাণ সহায়তা অবরোধ করে রাখায় গাজার মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এটিকে জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ‘ফিলিস্তিনি জীবনের ইচ্ছাকৃত ধ্বংসাবশেষ’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকা এখন সম্ভবত ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর ১৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
 
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অপুষ্টির সম্মুখীন নারী ও শিশুদের বিপজ্জনক ও বিপর্যয়কর ক্ষতির কথা তুলে ধরেছে। তারা অনেকেই পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় জল এবং শিশুর খাবারের অভাবের মুখোমুখি হয়েছে। ইসরায়েলের গাজায় সাহায্য পাঠাতে অব্যাহত অস্বীকৃতি ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক আদালতের একটি আদেশকে লঙ্ঘন করে। সেই আদেশে দুর্ভিক্ষ ও অনাহার রোধে জরুরি ভিত্তিতে উপত্যকায় সাহায্য পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
 
গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে রাখা নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) আগামী সপ্তাহে হেগে অনুষ্ঠিত গণশুনানির একটি সূচি প্রকাশ করেছে। সেখানে গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে জাতিসংঘ, এনজিওর কার্যকলাপকে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে ইসরায়েলের আইনি বাধ্যবাধকতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। আগামী সোমবার শুরু হতে যাওয়া এ শুনানির আগে প্রায় ৪৫টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা লিখিত বিবৃতি জমা দিয়েছে।
 
হাসপাতাল সূত্র আলজাজিরাকে জানিয়েছে, বুধবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ১৮ মাসে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫১ হাজার ৩০৫ জন নিহত এবং ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৬ জন আহত হয়েছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ