কারাবন্দি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাহরি না খেয়ে রোজা রাখতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন খাইবার পাখতুনখোয়া সরকারের মুখপাত্র ব্যারিস্টার সাইফ। এ ছাড়া ইমরান-বুশরা দম্পতির সঙ্গে সাক্ষাতের ওপর নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।

তাঁর মতে, এটি রমজান মাসে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দেওয়ার এক ঘৃণ্য পদক্ষেপ। সরকারের নিপীড়নমূলক এ পদক্ষেপে জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। যখন পুরো মুসলিম সম্প্রদায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করছে, তখন সরকার এমন আচরণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের প্রতি এই নিষ্ঠুর আচরণ অগ্রহণযোগ্য বলেন তিনি। এ ছাড়া ইমরানের সঙ্গে সাক্ষাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আদালতের আদেশের স্পষ্ট লঙ্ঘন। সামা নিউজ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘মাফিয়া বসদের মতো’ আচরণ করেছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ঘটনা বৈশ্বিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছে। একই চিত্র দেখা গেছে ইউরোপের গণমাধ্যমেও।

স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই ইউরোপীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রধান সংবাদ এখন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠক। জেলেনস্কির প্রতি ট্রাম্পের আচরণের সমালোচনা করে ইউরোপের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ট্রাম্প ও তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ওভাল অফিসে রাষ্ট্রনায়কের মতো আচরণ করেননি, বরং ‘মাফিয়া বসদের’ মতো আচরণ করেছেন।

ফরাসি দৈনিক লে ফিগারো ট্রাম্পকে একজন রুশ শাসকের সঙ্গে তুলনা করেছে। পত্রিকাটি লিখেছে, ‘আমেরিকাতে এখন একজন জারের খেলা খেলছেন, যিনি গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ভুলেছেন এবং পশ্চিমাদের পতন চান।’ ফরাসি দৈনিকটি আরও বলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগামী শাসনামল সম্পর্কে এখান থেকে ধারণা পাওয়া যায়।

যুক্তরাজে্যর সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ বলেছে, ‘পশ্চিমা ঐক্য অপরিহার্য বলেই মনে হচ্ছে।’ পত্রিকাটি আরও লিখেছে, এই উত্তপ্ত বাগ্‌বিতণ্ডার ভয়াবহ দৃশ্য দেখে ব্রিটেন এবং ইউরোপের যে কেউ তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবে।

ইতালির সংবাদপত্র কোরিয়ের ডেলা বলেছে, ‘ইউরোপ এখন নিজেদের সবচেয়ে খারাপ আশঙ্কাকে সত্য হতে দেখছে। কিয়েভকে তার ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আটলান্টিকের অপর পারে যাদের বন্ধু ভাবা হতো, তারা আদতে বন্ধু নয়।’

স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইস লিখেছে, ‘ওভাল অফিস থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা এসেছে, তা হলো যদি আমাদের জরুরি প্রয়োজন ও নিরাপত্তা সম্পর্কে কোনো সংশয় থাকে, তাহলে বিশ্বে আমাদের বন্ধু কারা, সেই বিষয় পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’

সুইজারল্যান্ডের সংবাদপত্র নিউ জুরচার জেইতুং পরামর্শ দিয়ে লিখেছে, ‘যদি ইউরোপীয়রা সত্যিই ইউক্রেনে টেকসই শান্তি চায়, তাহলে সম্ভবত তাদের নিজেদেরই নেতৃত্ব নিতে হবে, আমেরিকান আশ্বাসে ভরসায় থেকে নয়।’

জার্মানির ডের স্পিগেল পত্রিকা লিখেছে, ‘ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আলোচনা দেখে মনে হয়েছে, আমরা একটি নতুন বিশ্বে বাস করছি। পশ্চিমা বিশ্বে এখন তার পুরোনো শীর্ষ বন্ধুর কবল থেকে বের হয়ে আসার সময় হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্রের পায়ে কুড়াল!
  • সাহরি না খেয়ে রোজা রাখতে হচ্ছে ইমরান-বুশরাকে
  • সামুদ্রিক প্রাণীদের অদ্ভুত আচরণ কি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কতা
  • রিকশাচালককে জুতাপেটা করা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরখাস্ত
  • ইউক্রেন-রাশিয়ার শান্তিচুক্তির ভবিষ্যৎ কী?
  • ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, ইউরোপকে একলা চলতে হবে
  • আপনার আচরণ এমন হবে ভাবিনি: জামিলকে নূনা আফরোজ
  • সরকার জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মর্মবস্তু ধারণ করতে ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে
  • ‘মাফিয়া বসদের মতো’ আচরণ করেছেন ট্রাম্প