চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তাঁতী লীগের এক নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার খবরে থানায় বিক্ষোভ করেছেন শিবিরের কর্মীরা। গতকাল সোমবার রাত পৌনে দুইটার দিকে সীতাকুণ্ড থানার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

আটক নেতা সীতাকুণ্ড পৌরসভা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি শিবিরের সাথি মো. শাহজাহান হত্যা মামলার আসামি। ১৯৯৬ সালে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সীতাকুণ্ড ডিগ্রি কলেজে। মেজবাহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।

এ ছাড়া সোমবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে থানার ভেতরে মিছিল করার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ভূঁইয়া পন্থিছিলা’ নামের একটি আইডি থেকে লাইভ সম্প্রচার করেন শিবিরের কর্মীরা। ফেসবুক লাইভ থেকে দেখা যায়, শিবিরের বেশ কয়েকজন কর্মী ‘প্রশাসনের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’ এ রকম নানা স্লোগান দিয়ে থানার ভেতরে প্রবেশ করেন। মূল ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকে থানার অভ্যন্তরে দীর্ঘ সময় ধরে মিছিল করতে থাকেন। একপর্যায়ে খবর পেয়ে থানার ওসি মুজিবুর রহমান থানায় আসেন। তখন শিবিরকর্মীরা মেজবাহ কোথায় আছে সেটা জানতে চান। ওসি জানান, মেজবাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি থানাহাজতে আছেন। এরপর তাঁরা লাইভটি শেষ করেন।

মিছিলের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ছাত্রশিবির উত্তর জেলা শাখার সভাপতি মো.

শওকত প্রথম আলোকে বলেন, শিবিরের মো. পারভেজ ও শাহজাহান খুনের মামলার আসামি মেজবাহ উদ্দিনকে সীতাকুণ্ড থানা-পুলিশ ছেড়ে দিচ্ছে, এমন খবর পেয়ে নেতা-কর্মীরা সেখানে যান। পরে প্রশাসন আসামিকে ছাড়বে না জানালে সবাই চলে আসেন।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীকে আগের একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ম র

এছাড়াও পড়ুন:

‘সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ অর্থ কী

মহানবীকে স্মরণ করার সময় আমরা বলি, ‘সল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লাম’, বাংলায় সংক্ষেপে যা ‘(সা.)’ দিয়ে বোঝানো হয়। ‘সল্লাল্লাহু’ আরবি দুটি শব্দের সমষ্টি। একটি হলো ‘সল্লা’, আরেকটি ‘আল্লাহু’। প্রথম সাধারণ অতীতবাচক ক্রিয়া, যার মূল শব্দটি হলো ‘সালাত’। ‘সল্লাল্লাহু’ মানে ‘আল্লাহ সালাত পড়ুন’।

যেমন, কোরআনে আছে, আল্লাহ-তায়ালা বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা রাসুলের প্রতি সালাত পড়েন। ইমানদারগণ, তোমরাও তার প্রতি সালাত পড়ো এবং অধিক পরিমাণে সালাম বলো।’ (সুরা আহজাব, আয়াত: ৫৬)

‘সালাত’ শব্দের অনেক রকমের অর্থ আছে। ব্যবহার ভেদে এর অর্থ বিভিন্ন রকমের হয়। আমরা যে নামাজ পড়ি, তাকেও বলে সালাত। আবুল আলিয়া বলেন, মহানবীর (সা.) প্রতি আল্লাহর ‘সালাত’ হলো ফেরেশতাদের সামনে নবীজির (সা.) প্রশংসা করা। আর ফেরেশতাদের ‘সালাত’ মানে প্রার্থনা করা। (সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসির, ইমাম বুখারি, কিতাবুত তফসির)

আরও পড়ুনকেন দরুদ পাঠ করব১৫ মার্চ ২০২৫

আর ‘আলাইহি’ শব্দের অর্থ ‘তার ওপর’। এবং ‘ওয়া সাল্লাম’ মানে এবং ‘তিনি শান্তি দিন’। সালাম মানে শান্তি। সুতরাং ‘সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ মানে আল্লাহ মুহাম্মাদের ওপর সালাত পড়ুন এবং শান্তি বর্ষণ করুন।

ফাতহুল বারিতে গ্রন্থকার ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, এটাই সর্বোত্তম মত। নবীর (সা.) প্রতি আল্লাহর সালাতের অর্থ হবে, তার প্রশংসা করা এবং তাকে সম্মান জানানো। আর ফেরেশতা ও অন্যান্যদের সালাতের অর্থ হবে, আল্লাহর কাছে তার প্রশংসা ও সম্মান কামনা করা। অর্থাৎ, সম্মান ও প্রশংসা বৃদ্ধির কামনা করা। (ইমাম কাস্তালানি, আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা, ৩/৩১৯)

সাইয়েদ কুতুব (রহ.) বলেন, ‘নবীজির (সা.) প্রতি আল্লাহর সালাত’-এর অর্থ হলো, সুউচ্চ সভায় তাঁর প্রশস্তি বর্ণনা করা। আর ফেরেশতাদের সালাত হলো, আল্লাহর কাছে তার জন্য প্রার্থনা করা। তার মর্যাদা কত মহান। সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহ কেবল তার নবীর (সা.) প্রশংসা করেন বারবার। যার আলোয় এই জগতের সব উদ্ভাসিত হয়, যার প্রত্যাশায় প্রতিটি বস্তু সাড়া দেয়, তিনি প্রশংসা করেন। নিশ্চয় তার প্রশংসা চিরন্তন ও অনন্ত। আল্লাহ তাআলা চান নিজের সালাম-সালাতের সঙ্গে মুমিনদের সালাত-সালামকে মিলিয়ে তাদের সম্মানিত করতে। (সুরা আহজাবের ৫৬ নম্বর আয়াতের তাফসির, তাফসিরে ফি জিলালিল কোরআন)

আরও পড়ুনদরুদ পড়ার ফজিলত১৫ জানুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ