কোহলির আরও একটি ‘মাস্টারক্লাস’, ফাইনালে ভারত
Published: 4th, March 2025 GMT
নাহ্, পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীদের আশা পূরণ হলো না। দুবাইয়ে সেমিফাইনালে ভারত হারলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল ফিরবে পাকিস্তানের মাটিতে—এ–ই ছিল তাঁদের চাওয়া। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলি ক্রিজে জমে গেলে আসলে কারও চাওয়াই পূর্ণ হয় না, শুধু কোহলিরটা ছাড়া!
অস্ট্রেলিয়ার ২৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ভারত যে বিপদে পড়েনি, তা নয়। ৭.
ভারতকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পঞ্চম ফাইনালে তোলার পথে রান তাড়ায় ৮ হাজার রানের মাইলফলক পেরোনো কোহলির ইনিংসটি অনেককে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তাঁর সেরা সময়ে। পঞ্চম ওভারে ৩০ রানে অস্ট্রেলিয়ার পেসার বেন ডরশুইসের বলে গিলকে হারায় ভারত। কোহলি নামার ১৬ বল পর রোহিতও ফেরেন স্পিনার কুপার কনোলির বলে এলবিডব্লু হয়ে। পয়েন্টে ‘জীবন’ পাওয়া রোহিত আগেই ফিরেছেন ২৮ রানে।
উইকেট শুকনো ও স্পিনবান্ধব হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া ভেবেছিল, আগেভাগে স্পিনার এনে দ্রুত উইকেট তুলে চাপে ফেলা যাবে ভারতকে। সে পথে অস্ট্রেলিয়া প্রথম দফায় সফল হলেও পরে আর পারেনি। কারণ, কোহলি ব্যাটকে ছুরি বানিয়ে ফিল্ডিংয়ের ফাঁকফোকর দিয়ে যেমন রান বের করেছেন, তেমনি বাকিরাও তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন।
সতীর্থদের সঙ্গে জুটি গড়ে ভারতকে জয়ের পথচ্যূত হতে দেননি কোহলিউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।