রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইরানের দুই নাগরিকসহ তিনজন মারধরের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুই বিদেশিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আহত অন্যজনের খোঁজ মেলেনি।

পুলিশ সূত্র জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে কল করে একজন বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা এক্সচেঞ্জের নামে বাংলাদেশিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বিদেশিরা। এ নিয়ে ব্যাপক ঝামেলা চলছে। প্রতারকদের আটকে রাখা হয়েছে, পুলিশের সহায়তা দরকার। এরপর ভাটারা থানা পুলিশের একটি দল বসুন্ধরার আবু সাঈদ সড়কে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, শত শত লোক ঘিরে ধরে বিদেশিসহ তিনজনকে মারধর করছে। ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের বহনকারী গাড়ি। পুলিশ যাওয়ার পর লোকজন দ্রুত পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, আবু সাঈদ গেট এলাকায় লোকজন প্রথমে ওই বিদেশিদের মারধর করে। তখন তারা গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা চালায়। ওই সময় সামনে থাকা রিকশাসহ অন্য কয়েকটি যানবাহন গাড়ির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু দূর যাওয়ার পরই লোকজন তাদের আটকে আবার মারধর করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত দু’জনকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

এদিকে মুদ্রা বিনিময় নিয়ে প্রতারণার অভিযোগের কথা বলা হলেও পুলিশ কোনো অভিযোগকারীকে পায়নি। তাই প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে, তা তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। 

ভাটারা থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম সমকালকে বলেন, দুই বিদেশির সঙ্গে থাকা বাংলাদেশি গাড়িচালকও পিটুনির শিকার হয়েছেন। তবে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছেন। কী কারণে মারধরের ঘটনা ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের নাম-ঠিকানাও জানা সম্ভব হয়নি। আহতরা সুস্থ হয়ে উঠলে বিস্তারিত জানা যাবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রধর ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

মদিনা শহরকে কটাক্ষ: রংপুরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে দুই কিশোরসহ গ্রেপ্তার ৩

মুসলিমদের পবিত্র ভূমি মদিনা শহরকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার ঘটনায় রংপুরে দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার তারাগঞ্জ থানায় ছয়জনের নামে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ১৯ বছর। বাকি দুজন কিশোর—একজনের বয়স ১৬ ও অন্যজনের ১৭ বছর।

পুলিশ ও মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার হিন্দুধর্মাবলম্বী এক কিশোর মদিনা শহরকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে। ওই ভিডিওতে কিশোরসহ ছয়জন ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন পরিষদে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপর ওই দিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের বামনদীঘি এলাকায় অবরোধ করে ওই কিশোরদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুনমদিনা শহরকে কটাক্ষ করে পোস্ট দেওয়ায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা২২ ঘণ্টা আগে

এ ঘটনার পর লিমন নামের এক যুবক থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। গতকাল সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হিসেবে রেকর্ড করে তারাগঞ্জ থানার পুলিশ। দিবাগত রাত দুইটার দিকে তারাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কনক রঞ্জনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এ সম্পর্কে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে পোস্টাদাতা কিশোরসহ ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মদিনা শহরকে কটাক্ষ: রংপুরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে দুই কিশোরসহ গ্রেপ্তার ৩