পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় মুড়ি তৈরিতে শিল্প গ্রেডের লবণ ব্যবহার করার দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার উত্তর বাজার ও আমড়াজুরী ফেরিঘাটের দুটি মুড়ির কারখানায় অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়।

কাউখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত দেবনাথ ও বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক ইয়াছির আরাফাতের উপস্থিতিতে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ‘খই-মুড়ি প্রোডাক্টস’ ও ‘হাসান অ্যান্ড রাব্বি এন্টারপ্রাইজ’ নামের দুটি কারখানায় মুড়ি তৈরির সময় সাধারণ খাওয়ার লবণের পরিবর্তে শিল্পকারখানায় ব্যবহার করা শিল্প গ্রেডের লবণ ব্যবহার করতে দেখা যায়। পরে বিএসটিআই আইন–২০১৮–এর ৩১ ধারা মোতাবেক প্রতিটি কারখানাকে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানের সময় দুটি মুড়ির কারখানা থেকে শিল্প গ্রেডের লবণ জব্দ করে জনসমক্ষে নষ্ট করা হয়। এ ছাড়া ‘সাতক্ষীরা ঘোষ ডেইরি’ নামের একটি দোকানে বিএসটিআইয়ের অনুমতি ছাড়া দই উৎপাদন করার দায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ল প গ র ড র লবণ ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ