‘দারিদ্র্য দূর করতে যাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার বিকল্প নেই’
Published: 4th, March 2025 GMT
নামাজ ও রোজার মতো যাকাত আদায়ও ফরজ ইবাদত, তবে এ বিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে- এ কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘‘দারিদ্র্য দূর করতে যাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার বিকল্প নেই। যাকাত সম্পদের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধির উপায় এবং এটি দরিদ্র ও হতদরিদ্রদের প্রাপ্য, যা সঠিকভাবে বিতরণ করা জরুরি।’’
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে রাজশাহীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগর শাখা আয়োজিত ‘সমাজ উন্নয়ন ও আত্মশুদ্ধিতে যাকাত এবং রমযান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘‘ইসলামী শরীয়াতে যাকাত প্রদানের আটটি খাত নির্ধারিত রয়েছে। তাই সম্পদশালী ব্যক্তিদের যথাযথ হিসাব করে যাকাত প্রদান করা উচিত। যাকাতভিত্তিক সমাজব্যবস্থাই মানবতার অর্থনৈতিক মুক্তির পথ, যা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব।’’
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রমজানের শুরুতেই যাকাত আদায়ের আহ্বান জানান। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরের আমীর ড.
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. বিলাল হোসাইন। জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসাইনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান, জামায়াতের মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল, ডা. হাসানুজ্জামান হাসু, ব্যাংকার নুরুল আমিন প্রমুখ।
এছাড়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য সারওয়ার জাহান প্রিন্স, অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন সরকার, আশরাফুল আলম ইমন, তৌহিদুর রহমান সুইট, মাওলানা রুহুল আমিন, কামরুজ্জামান সোহেল প্রমুখ।
ঢাকা/কেয়া/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের দাবি
চীন সরকারের সহযোগিতায় বাংলাদেশে যে তিনটি বিশেষায়িত হাসপাতাল হবে, তার একটি বরিশাল বিভাগে স্থাপন এবং ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত বিদ্যমান দুই লেনের মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, পেশাজীবী, রাজনীতিকসহ সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার সার্বিক মান উন্নয়নে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো:
ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করতে হবে। বরিশাল-ভোলা সেতু নির্মাণ করতে হবে। ভোলার গ্যাস দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলায় সরবরাহ করতে হবে। পটুয়াখালীর বগা নদীতে সেতু স্থাপন করতে হবে। বাবুগঞ্জ থেকে মুলাদী (ময়দানের হাটে) সেতু নির্মাণ করতে হবে। পাথরঘাটা থেকে বরগুনা সদর (কাকচিড়ায়) সেতু নির্মাণ করতে হবে। দক্ষিণাঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক মানের ইপিজেড নির্মাণ করতে হবে। কুয়াকাটাকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ভ্যাট কমিশনারেট অফিস বরিশালে স্থাপন করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ আয়কর আপিল আদালত বরিশালে স্থাপন করতে হবে। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পূর্ণাঙ্গ বিভাগীয় অফিস বরিশালে স্থাপন করতে হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পূর্ণাঙ্গ বিভাগীয় কার্যালয় বরিশালে স্থাপন করতে হবে। আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের বিভাগীয় অফিস বরিশালে স্থাপন করতে হবে।
এছাড়াও বাংলার শষ্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত দক্ষিণাঞ্চলের পতিত জমিতে কৃষকরা প্রতিবছর যেন তিনটি করে ফসল চাষ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে আধুনিক সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কৃষকদের ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা ৫ শতাংশ সুদে কৃষি ঋণ দিতে হবে। বরগুনার কাকচিড়ার বড়ইতলায় নদী পারাপারের জন্য রো রো ফেরির ব্যবস্থা করতে হবে এবং আমতলী-বরগুনা সেতু নির্মাণ করতে হবে।
বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. এবায়েদুল হক চাঁনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল—৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, চেম্বার অব কমার্স বরিশালের পরিচালক হাফিজুর রহমান হীরা, চেম্বার অব কমার্স পটুয়াখালীর পরিচালক দেওয়ান আব্দুর রহমান নিলু প্রমুখ।
ঢাকা/রায়হান/রফিক