নির্বাচন পেছাতে কোনো অজুহাত তৈরি করা যাবে না: মির্জা আব্বাস
Published: 4th, March 2025 GMT
নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য অজুহাত তৈরির পাঁয়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, কিছু কিছু লোক নির্বাচনপ্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার জন্য, নির্বাচন না করার জন্য একটা অজুহাত তৈরির পাঁয়তারা করছে। এতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত কাজ করছে। বাংলাদেশ যদি অস্থিতিশীল হয়ে যায়, অনেকেরই ক্ষতি হবে। নির্বাচন যারা পিছিয়ে দিতে চাচ্ছে, তাদের ক্ষতি হবে। নির্বাচনপ্রক্রিয়া পেছানোর জন্য কোনো অজুহাত তৈরি করা যাবে না।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেখতে গিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আজ সকালে এক কর্মসূচিতে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘যত দিন না পর্যন্ত খুনি হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখছি, তত দিন যেন কেউ ভুলক্রমেও নির্বাচনের কথা না বলে।’ এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নতুন দলের নেতারা এটা বলতেই পারেন। বিচার হোক না.
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দ্রুত বিচার আদালতে আমার সাজা হয়েছে। আমার স্ত্রীর ১৬ বছরের সাজা হয়েছে, আমার ভাইয়ের ১৮ বছরের সাজা হয়েছে। আরও অনেকেরই সাজা হয়েছে। দ্রুত বিচার আদালতে বিচার হোক। কিন্তু নির্বাচনপ্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো অজুহাত তৈরি করা যাবে না।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
লেজার লাইটের ব্যবহার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
পুলিশের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সময় ও সাধারণ মানুষের লেজার লাইটের ব্যবহার প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের এবং বিমানবন্দর এলাকাসহ অন্য কোনো স্থানে সাধারণ মানুষ অথবা কর্তৃপক্ষের লেজার লাইটের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী ও দুই ব্যক্তি গত মাসে ওই রিট করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী, সঙ্গে ছিলেন ওবায়েদ আহমেদ ও রবিউল আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
পরে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী প্রথম আলোকে বলেন, লেজার লাইটের রশ্মি মূলত ফোকাস রেডিয়েশন। যান নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ লেজার লাইট ব্যবহার করে। এ ছাড়া বিমানবন্দর এলাকায় বিমান ওঠা বা নামার সময়ও লেজার লাইটের ব্যবহার দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে, লেজার লাইটের রশ্মি এসে পড়লে মানুষের চোখ ও ত্বকের সাময়িক বা স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। রেটিনার ক্ষতিসহ তা অন্ধত্বের ঝুঁকি তৈরি করে। এ ধরনের লাইটের ব্যবহার দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ায়। মূলত এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।
রিট আবেদনে দেখা যায়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের এবং বিমানবন্দর এলাকাসহ অন্য কোনো স্থানে সাধারণ মানুষ অথবা কোনো কর্তৃপক্ষের লেজার লাইটের ব্যবহার কেন বেআইনি, অসাংবিধানিক এবং সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩২ ও ৩৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। নিরাপদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিকল্প ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে অবিলম্বে লেজার লাইটের ব্যবহার নিষিদ্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিটের প্রার্থনা অনুযায়ী রুল হয়েছে জানিয়ে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, স্বরাষ্ট্রসচিব, বেসমারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনসচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে হবে।