নির্মাতা রায়হান রাফী ও অভিনেত্রী তমা মির্জার প্রেমের খবর নতুন কিছু নয়। তবে গতকাল রায়হার রাফীর জন্মদিনে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে সেই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত নিয়ে যায় নেটিজেনরা। কারণ, জন্মদিনের প্রথম প্রহরে নির্মাতার মায়ের সঙ্গে কেক কাটতে দেখা যায় তমা মির্জাকেও। এদিকে প্রেমের সম্পর্কের কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তমা মির্জা। 

রাফী সোমবার রাতে জন্মদিনের আয়োজনের একটি স্থিরচিত্র পোস্ট করে ফেসবুকে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার জীবনের সেরা জন্মদিন। ধন্যবাদ তমা এবং আমার পরিবার।’ একই স্থিরচিত্র প্রকাশ করে তমা লিখেছেন, ‘মনে রাখার মতো একটি রাত।’

এদিকে প্রেম ও বিয়ের খবরকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন তমা মির্জা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সকল গণমাধ্যমকে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও অহেতুক গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। একজন শিল্পী হিসেবে কাজ নিয়েই আমার যত ভাবনা এবং আমি আমার আগামীর সব কাজের প্রতি সবচেয়ে বেশি নিবেদিত। যাঁরা দায়িত্বশীল ও সততার সঙ্গে সংবাদ প্রকাশ করেন, তাঁদের প্রতি আমার সম্মান সব সময় এবং তাঁদের পেশাদারত্ব প্রশংসার দাবিদার।’

২০১৮ সালে চিত্রনায়িকা তমা মির্জার সঙ্গে ব্যবসায়ি হিশাম চিশতীর পরিচয় হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছর শেষ হতেই দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের বিরুদ্ধে আনেন অভিযোগ। ঝামেলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এরপর তাঁরা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিচ্ছেদের পর তমা মির্জা পুরোপুরি কাজে মনোযোগী হন। একের পর এক অসাধারণ সব কাজ উপহার দেন এই চিত্রনায়িকা।

কাজ করেন রায়হান রাফীর মতো সময়ের আলোচিত পরিচালকের সঙ্গেও। রায়হান রাফীর পরিচালনায় প্রথমবার তমা মির্জা অভিনয় করেন ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ ওয়েব ফিল্মে। পরে আবার তাঁদের দেখা যায় ‘৭ নম্বর ফ্লোর’-এ। রাফীর ‘সুড়ঙ্গ’ ছবির ‘ময়না’ চরিত্রে অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন তমা। ‘সুড়ঙ্গ’ ছবিতে তমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো। আগামী ঈদে মুক্তি পাবে রাফী-তমা জুটির ‘দাগি’ সিনেমা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারীদের বিচারসহ ১১ দাবি ঢাবি সাদা দলের

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার মানোন্নয়নসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে সাদা দলের নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান। 

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম, অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার। এছাড়া ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও স্যার পিজে হার্টজ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ এমএ কাউসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।   

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখতে চান গুলিবিদ্ধ রিকশাচালক

বাংলাদেশের তরুণদের কাছে সারাবিশ্ব পরিবর্তনের শিক্ষা নিয়েছে: হারমান বেঞ্জামিন

স্মারকলিপিতে সাদা দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার বাতিঘর। এর মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে জাতির জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসার ঘটে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই উচ্চশিক্ষার আলোকবর্তিকা হয়ে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই দেশের সার্বিক উন্নয়নের অভিপ্রায়ে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা, শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ কার্যকর অপরিহার্য।

তারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ও উচ্চশিক্ষায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান অপরিসীম। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, সমাজ তথা দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলকভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের পাঠ-পঠন যেমন আধুনিক হয়নি, তেমনি এর অবকাঠামোরও সময়োপযোগী উন্নয়ন হয়নি। এ অবস্থায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের জন্য আবসন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণের জন্য সাদা দলের পক্ষ থেকে দেওয়া দাবিগুলো বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি। 

স্মারকলিপিতে তারা ১১ দফা দাবি উপত্থাপন করেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য স্বতন্ত্র বেড নিশ্চিতকরণ; হলগুলোর খাবারের মান বৃদ্ধি ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা; শ্রেণি কক্ষের মানোন্নয়ন ও পাঠদানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি; বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ বৃদ্ধি; শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ সৃষ্টি।

অন্য দবিগুলো হলো- প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা; ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি; পরিবহন সুবিধা সম্প্রসারণ; স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং ও মেন্টরশীপ কর্মসূচি উন্নতিকরণ; প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন; শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ রাস্তার সংস্কার; জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিতকরণ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ