বরিশাল নগরীর কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় যুবদল কর্মী সুরুজ গাজী (৩০) হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহিন সরদার ওরফে সোনা শাহিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ছিলেন। 

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু ও সদস্যসচিব খান মো. আনোয়ার হোসেন আজ মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তিতে শাহিন সরদারকে বহিষ্কার করেন। 

উল্লেখ্য, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যুবদল কর্মী সুরুজ গাজীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাহিন সরদারের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।  

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানার ওসির নাজমুল নিশাত জানান, নিহতের বড় ভাই শাহীন গাজী বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল য বদল ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

লেজার লাইটের ব্যবহার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

পুলিশের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সময় ও সাধারণ মানুষের লেজার লাইটের ব্যবহার প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন।

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের এবং বিমানবন্দর এলাকাসহ অন্য কোনো স্থানে সাধারণ মানুষ অথবা কর্তৃপক্ষের লেজার লাইটের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী ও দুই ব্যক্তি গত মাসে ওই রিট করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী, সঙ্গে ছিলেন ওবায়েদ আহমেদ ও রবিউল আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।

পরে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী প্রথম আলোকে বলেন, লেজার লাইটের রশ্মি মূলত ফোকাস রেডিয়েশন। যান নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ লেজার লাইট ব্যবহার করে। এ ছাড়া বিমানবন্দর এলাকায় বিমান ওঠা বা নামার সময়ও লেজার লাইটের ব্যবহার দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে, লেজার লাইটের রশ্মি এসে পড়লে মানুষের চোখ ও ত্বকের সাময়িক বা স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। রেটিনার ক্ষতিসহ তা অন্ধত্বের ঝুঁকি তৈরি করে। এ ধরনের লাইটের ব্যবহার দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ায়। মূলত এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

রিট আবেদনে দেখা যায়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের এবং বিমানবন্দর এলাকাসহ অন্য কোনো স্থানে সাধারণ মানুষ অথবা কোনো কর্তৃপক্ষের লেজার লাইটের ব্যবহার কেন বেআইনি, অসাংবিধানিক এবং সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩২ ও ৩৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। নিরাপদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিকল্প ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে অবিলম্বে লেজার লাইটের ব্যবহার নিষিদ্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।

রিটের প্রার্থনা অনুযায়ী রুল হয়েছে জানিয়ে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, স্বরাষ্ট্রসচিব, বেসমারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনসচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ