প্রতারণা ও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো.

আক্তার হোসেন বলেন, নীতিমালার শর্ত ভঙ্গ করে সহকারী অধ্যাপক পদে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া ও প্রতারণার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবদুস সাত্তার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. ইকবাল কবীর আহিদ, সাবেক অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোছা. ফেরদৌসী বেগম।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কক্ষে তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা, হট্টগোল

কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত শিক্ষক–কর্মকর্তা, ছাত্রদলের নেতা–কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা ও হট্টগোল হয়েছে। রেজিস্ট্রার পদসহ কয়েকটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া নিয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে এই হট্টোগোলের কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকেরা উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানা গেছে, সহ–উপাচার্য এয়াকুব আলী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন একটি পক্ষ বিএনপিপন্থী এক কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দিতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানিয়েছে। এ নিয়েই মূলত হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে।

কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্যের সভাকক্ষে প্রকৌশলী এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালকের (পিডি) সঙ্গে সভা করছিলেন উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। সভা চলাকালে ‘প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক পদ থেকে ফ্যাসিস্টের দোসরদের অপসারণের দাবিতে’ কার্যালয়ের সামনে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শাখা ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা গিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। পরে বেলা পৌনে একটার দিকে সহ–উপাচার্য এয়াকুব আলী কার্যালয় থেকে নিচে নেমে আসেন। কিছুক্ষণ পর তিনিসহ জিয়া পরিষদের সভাপতি ফারুকুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ ও সদস্যসচিব মাসুদ রুমির নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

প্রশাসনিক পদে নিয়োগ নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কক্ষে কয়েকটি পক্ষের মধ্যে তুমুল হট্টগোল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে

সম্পর্কিত নিবন্ধ