স্কুলে ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল, থাকবে সংরক্ষিত আসন
Published: 4th, March 2025 GMT
স্কুল-কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটার বিধান রাখার আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৩ মার্চ) ওই আদেশ বাতিল করে নতুন আদেশ জারি করা হয়েছে। তবে কোটার স্থলে নতুন করে প্রতি শ্রেণিতে একটি করে আসন বেশি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থান আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি স্কুলের ভর্তিতে লটারির জন্য নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত প্রতি শ্রেণিতে একজন করে ভর্তির জন্য আসন সংরক্ষিত থাকবে।
আরো পড়ুন:
ডুয়েটে ছাত্রদলের নতুন কমিটি থেকে সভাপতিসহ ১৫ নেতার পদত্যাগ
গোবিপ্রবির সাবেক ভিসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আদেশে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও শহীদ হন। তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ জারিকৃত আদেশ বাতিল করে নতুন আদেশ জারি করা হলো।
আদেশে আরো বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহত/শহীদ পরিবারের সদস্যদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র/গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ইস্যুকৃত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ শহীদদের গেজেট যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
আদেশে বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত/শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে উক্ত আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না। এ আদেশ কেবল ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৩০ কোটির স্পনেরশিপ, ৫ শতাংশ মুনাফা-আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বিসিবির
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন হয়। সেখানে দাবি করা হয় বিসিবি প্রেসিডেন্ট বোর্ডের টাকা নিজের স্বার্থে সরিয়েছেন অন্য ব্যাংকে।
বিবৃতিতে বিসিবি দাবি করে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর স্থায়ী আমানত থেকে মুনাফা বৃদ্ধি হয়েছে ২–৫% আর ব্যাংকিং অংশীদারদের কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকার বেশি স্পনসরশিপ প্রতিশ্রুতি।
রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য বিবৃতি হুবহু তুলে ধরা হলো…
আরো পড়ুন:
হৃদয়ের শাস্তি হাস্যকর, মোহামেডানের চাপ ছিল কি না সেটা জরুরি না: তামিম
মানহীন পারফরম্যান্সে ক্রিকেট বাজারে অস্থিরতা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জাতীয় গণমাধ্যমের কিছু অংশে বোর্ডের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিসিবির মতে, এসব প্রতিবেদন ভ্রান্ত, ভুল তথ্যভিত্তিক এবং বোর্ড ও এর সভাপতি জনাব ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে।
বিসিবি তার সকল আর্থিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। সাম্প্রতিক অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে, বোর্ড জনগণ এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রতি প্রতিশ্রুত সাংবাদিকদের সুবিধার্থে নিম্নলিখিত ব্যাখ্যাগুলো প্রদান করছে:
২০২৪ সালের আগস্টে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর জনাব ফারুক আহমেদ বোর্ডের আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকারে রেখেছেন, বিশেষত বিগত বছরগুলোর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের গণআন্দোলনের পর দেশের অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, বিসিবি তার ব্যাংকিং সম্পর্কগুলোর পুনর্মূল্যায়ন করে এবং কৌশলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত গ্রীন ও ইয়েলো জোনভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথেই বোর্ড আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে, বিসিবি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে এবং এর মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা গ্রীন ও ইয়েলো জোনভুক্ত ব্যাংকগুলোতে পুনঃবিনিয়োগ করে। অবশিষ্ট ১২ কোটি টাকা বিসিবির দৈনন্দিন পরিচালন ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্ধারিত একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে যে, পার্টনার ব্যাংকগুলোর সাথে বিসিবির আর্থিক বিষয়ক লেনদেনে স্বাক্ষরপ্রদানকারী দুজন বোর্ড পরিচালক - বোর্ডের ফিনান্স কমিটি চেয়ারম্যান জনাব ফাহিম সিনহা ও টেন্ডার ও পারচেজ কমিটি চেয়ারম্যান জনাব মাহবুবুল আনাম I বোর্ড সভাপতি কোন একক সিদ্ধান্তবলে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের অজ্ঞাতে ব্যাঙ্ক পরিবর্তনের নির্দেশ প্রদান করেন না এবং তিনি ব্যাংকিং বিষয়ে স্বাক্ষর প্রদানকারী ননI
বিসিবি অবগত যে, কিছু সুবিধাভোগী মহল এবং ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী, যারা ক্রিকেট প্রশাসনের ভিতরেও সক্রিয়, বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই কারণেও বিসিবি তার আর্থিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিসিবি তার অর্থ ও স্থায়ী আমানত সংরক্ষণের দায়িত্ব ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকের হাতে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কেবল বিসিবির আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি, বরং প্রতিযোগিতামূলক মুনাফা প্রাপ্তির মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করেছে। এর ফলে, পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বিসিবির স্থায়ী আমানত থেকে ২–৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত মুনাফা হয়েছে।
গত ছয় মাসে বিসিবি তার বর্তমান তিনটি ব্যাংকিং অংশীদারের কাছ থেকে আনুমানিক ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ পেয়েছে। এছাড়াও, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিসিবির অংশীদার ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের আশ্বাস পাওয়া গেছে, যা এই আর্থিক সম্পর্কগুলোর দৃঢ়তা ওe গভীরতা নির্দেশ করে।
বিসিবি সর্বোচ্চ মানের আর্থিক শাসন ব্যবস্থা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রকৃত ও তথ্যভিত্তিক উৎস থেকে তদন্ত ও পর্যালোচনাকে স্বাগত জানায়। পাশাপাশি, গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হচ্ছে যেন তারা ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকে, যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও এর সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ