পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের  ভারত ভিসা দেবে কি না, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। ভিসা জটিলতা তো আমরা সৃষ্টি করি নাই।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত যে কোনো কারণে হোক... ভিসা দেওয়া তাদের সার্বভৌম অধিকার। কোনো দেশ কাউকে যদি ভিসা না দেয় বা কোনো গোষ্ঠীকে ভিসা না দেয়, এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, এটা তাদের সিদ্ধান্ত। আমরা আশা করছি, তারা (ভারত) তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে, আমাদের সাথে কার্যকলাপ বাড়াবে, যেন লোকজন যারা ভারত যেতে চান, তারা ভিসা পান।

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারত ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যে কথা বলেছেন, এটা কিন্তু একেবারে আমাদের অবস্থান। আমি বিভিন্ন সময়ে বলে আসছি ভালো কাজের সম্পর্ক চাই। আর এটা পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে করতে চাই। এই অবস্থানটা প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। আমাদের প্রথম থেকে একটা স্পষ্ট অবস্থান আছে, এটা তারই প্রতিফলন। বাকিটুকু দেখা যায়, দুই পক্ষের স্বার্থ আছে। সেই স্বার্থ সেই বিবেচনায় সম্পর্ক এগিয়ে যাবে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

তাঁতী লীগ নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার খবরে থানায় শিবিরকর্মীদের বিক্ষোভ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তাঁতী লীগের এক নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার খবরে থানায় বিক্ষোভ করেছেন শিবিরের কর্মীরা। গতকাল সোমবার রাত পৌনে দুইটার দিকে সীতাকুণ্ড থানার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

আটক নেতা সীতাকুণ্ড পৌরসভা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি শিবিরের সাথি মো. শাহজাহান হত্যা মামলার আসামি। ১৯৯৬ সালে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সীতাকুণ্ড ডিগ্রি কলেজে। মেজবাহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।

এ ছাড়া সোমবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে থানার ভেতরে মিছিল করার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ভূঁইয়া পন্থিছিলা’ নামের একটি আইডি থেকে লাইভ সম্প্রচার করেন শিবিরের কর্মীরা। ফেসবুক লাইভ থেকে দেখা যায়, শিবিরের বেশ কয়েকজন কর্মী ‘প্রশাসনের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’ এ রকম নানা স্লোগান দিয়ে থানার ভেতরে প্রবেশ করেন। মূল ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকে থানার অভ্যন্তরে দীর্ঘ সময় ধরে মিছিল করতে থাকেন। একপর্যায়ে খবর পেয়ে থানার ওসি মুজিবুর রহমান থানায় আসেন। তখন শিবিরকর্মীরা মেজবাহ কোথায় আছে সেটা জানতে চান। ওসি জানান, মেজবাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি থানাহাজতে আছেন। এরপর তাঁরা লাইভটি শেষ করেন।

মিছিলের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ছাত্রশিবির উত্তর জেলা শাখার সভাপতি মো. শওকত প্রথম আলোকে বলেন, শিবিরের মো. পারভেজ ও শাহজাহান খুনের মামলার আসামি মেজবাহ উদ্দিনকে সীতাকুণ্ড থানা-পুলিশ ছেড়ে দিচ্ছে, এমন খবর পেয়ে নেতা-কর্মীরা সেখানে যান। পরে প্রশাসন আসামিকে ছাড়বে না জানালে সবাই চলে আসেন।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীকে আগের একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ