পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর সামনে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যশোর জেলার ৯টি থানায় অতিরিক্ত ৭ শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।

আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য দেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী।

নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, জেলার ৯টি থানায় পুলিশের ২৫টি পেট্রোল টিম, ৬০টি মোবাইল টিম, ১৩টি পিকেট টিম ও ২৭টি বাইক মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক টহল দেবে। এছাড়াও কোতোয়ালি থানা এলাকায় ২৮টি মোবাইল টিম, ৪টি পিকেট টিম ও ৭টি ফুল পেট্রোল টিম কাজ করবে। শহরের প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে মোটরসাইকেলে মোবাইল টিম টহল দেবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিশেষ টিম, রেডি টু মুভ ও কুইক রেসপন্স টিম সার্বক্ষনিক প্রস্তুত থাকবে। ছিনতাই চক্র ধরতে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় রিকশা মালিক সমিতির সহযোগিতা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন:

ঈদের ছুটিতে দেশে এসে সড়কে ঝরল ২ যুবকের প্রাণ

বাসচালককে পেটানোর অভিযোগ ইউএনওর বিরুদ্ধে, মহাসড়কে বিক্ষোভ

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, রমজানে ছিনতাই ও অন্যান্য অপরাধ ঠেকাতে পুলিশ তৎপর থাকবে। প্রতিটি ব্যাংকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের সময় পুলিশকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ আবুল বাশার, রুহুল আমিন, সিনিয়র এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান, যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ। 
 

ঢাকা/রিটন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শিহাব নিহত হওয়ার সাত দিন পর মামলা

কক্সবাজারে বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে হামলা ও সংঘর্ষের সময় শিহাব কবির (৩০) নামের এক যুবক নিহত হন। এ ঘটনার সাত দিন পর গত সোমবার রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন শিহাবের বাবা নাসির উদ্দিন। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়ার বাসিন্দা ও প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কক্সবাজারের সাবেক সুপার।

এজাহারে বলা হয়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে বিমানবাহিনীর সদস্যরা জাহেদুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় লোকজন জাহেদুল ইসলামকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। রাস্তায় কী ঘটছে, তা দেখার জন্য এগিয়ে গেলে শিহাব গুলিবিদ্ধ হন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার বিমানবন্দরের পশ্চিম পাশে সমিতি পাড়ায় বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি সমিতি পাড়ার বাসিন্দা দু’জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট জিয়াউল হক। দুই আসামি হলেন– সমিতি পাড়ার রাহাত ইকবাল ওরফে ইকবাল বাহার ও এজাবত উল্লাহ। 

এ মামলায় বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখানো হয় ৬৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এজাহারে বলা হয়, নাশকতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বিনষ্টের উদ্দেশ্যে বিমানবঘাঁটির স্পর্শকাতর স্থাপনার ওপর দেশীয় অস্ত্র, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ অতর্কিতে হামলা করে দুষ্কৃতকারীরা। তারা বিমানবাহিনীর ছয়-সাতটি সিসিটিভি ক্যামেরা, দুটি মোটরসাইকেল, কয়েকটি সরকারি গাড়ি, একটি অফিস ভবন, নির্মাণাধীন দালান ভাঙচুর করে। নির্মাণ সামগ্রীও লুটপাট করা হয়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, মামলা দুটির তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে শিহাব গুলিবিদ্ধ হয়ে নাকি ইটপাটকেলের আঘাতে মারা গেছেন।

এদিকে গুলিতে শিহাবের মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার ও এলাকাবাসী দাবি করলেও পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে গুলির কথা উল্লেখ নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ