ঈদের ছুটিতে দেশে এসে সড়কে ঝরল ২ যুবকের প্রাণ
Published: 4th, March 2025 GMT
রোজা ও ঈদের ছুটিতে দেশে বেড়াতে এসে চাঁদপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ইতালি প্রবাসী দুই যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩ মার্চ) রাত ১১টার দিকে শহরের পুরানবাজারে গার্লস স্কুলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার মেরকাটিজ রোডের ইতালি প্রবাসী মো. আব্দুস সালাম দেওয়ানের ছেলে অভি দেওয়ান (১৮) ও তার খালাত ভাই শরীয়তপুরের ঘরিসা এলাকার মো.
নিহতদের স্বজনরা জানান, ইতালি প্রবাসী দুই খালাত ভাই গত ১১ ফেব্রুয়ারি রোজা ও ঈদের ছুটিতে দেশে আসে। সোমবার রাতে তারা একটি মোটরসাইকেলে নতুন বাজার মার্কেটে শার্ট কেনার জন্য যায়। এ সময় গার্লস স্কুলের কাছে ইত্যাদি মেশিনারিজ দোকানের সামনে দ্রুতগতিতে সাইকেলকে পাস কাটিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। পরে একটি কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে অভি মারা যায়। আর নিলয়কে গুরুতর অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
জামালপুরে ছাত্র-শ্রমিক পাল্টাপাল্টি অবরোধ, বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া জানান, ঘটনার পর পুলিশ মরদেহ দুটির সুরতহাল করেছে। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ও কাভার্ডভ্যান থানায় আনা হয়েছে। কাভার্ডভ্যানের চালক পালিয়ে গেলেও হেলপার ইসমাইল হোসেন থানা হেফাজতে রয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/জয়/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন প রব স দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
শিশুর জন্মের সময় দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন
পাবনায় এক প্রসূতির সন্তান জন্মের সময় নবজাতকের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেট থেকে নবজাতকের মাথা বের করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের লেবার গাইনি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ গাইনি চিকিৎসক ডা. নার্গিস সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী নারী পাবনার আতাইকুলা ইউনিয়নের আতাইকুলা গ্রামের দুবাইপ্রবাসী রমজান খাঁর স্ত্রী শিউলী খাতুন (৩৫)। দুই সন্তানের জননী শিউলী খাতুন তৃতীয় সন্তান গর্ভে ধারণ করছিলেন। এ ঘটনায় আজ রাত পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেনি ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ২১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
রোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই প্রসূতি প্রথম থেকেই পাবনার গাইনি চিকিৎসক শাহীন ফেরদৌস শানুর পরামর্শ নিচ্ছিলেন। হঠাৎ মঙ্গলবার ভোরে পেটে ব্যথা উঠলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে সাহ্রির পরপরই ডা. শানুর বাসার চেম্বারে নিয়ে যান। ডাক্তারের পরামর্শে রোগীর স্বজন তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে হাসপাতালের ধাত্রী নরমাল ডেলিভারি করানোর সময় নবজাতকের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পেটের ভেতরে রয়ে যায়। তার পর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেট থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা বের করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ও স্বজনের পাশাপাশি অন্য রোগীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. দীপা মর্জিনা রোগীর প্রাথমিক পরীক্ষা করে পেটের বাচ্চা মৃত বলে জানান। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি, বাচ্চা মৃত সেটি তারা পরে জানতে পেরেছেন।
ঘটনা তদন্তে গঠন করা কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. জাহিদ ইসলাম ও গাইনি বিশেজ্ঞ ডা. ফাতেমা মাসুর।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. নার্গিস সুলতানা বলেন, মৃত বাচ্চা নিয়েই ওই নারী এখানে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর পেটের বাচ্চার বয়সও পরিপূর্ণ ছিল না। সবেমাত্র সাত মাসে পড়েছে। সেই সময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেই মায়ের পেটের ও জরায়ুর অবস্থা দেখে বাচ্চা মৃত বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে মায়ের পরিপূর্ণ সেবা প্রদানসহ তাঁর জন্য কী কী করণীয়, সেটির ব্যবস্থা করেছি।
তিনি আরও বলেন, পেটে থাকা মৃত শিশুটির বয়স কম হওয়ায় তার শরীরের কোনো কিছুই শক্ত ছিল না। এমনকি ওই শিশুটির দেহের মাথার অংশ পেটের ওপরে ও পা নিচের দিকে ছিল। নরমাল প্রসব করানোর সময় সেবিকারা জোরে টান দিলে ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে সিজার করে তাঁর পেট থেকে মৃত শিশুর অবশিষ্ট অংশ (মাথা) বের করা হয়। এ ঘটনা কেন হয়েছে, কোনো অসাবধানতা ছিল কিনা, সেটি তদন্ত করে দেখছি আমরা।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান বলেন, রোগীর অবস্থা এখন ভালো আছে। তদন্ত কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। কোনো ধরনের অবহেলা পাওয়া গেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।