সিআরআর কমল, বাড়বে ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা
Published: 4th, March 2025 GMT
ব্যাংকিং খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশে নেমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও দৈনিক ভিত্তিতে টাকা ধার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমানতের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নগদ জমা সংরক্ষণে (সিআরআর) পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এত দিন আমানতের বিপরীতে সাড়ে ৩ শতাংশ অর্থ সিআরআর হিসেবে জমা রাখতে হতো, আগামীকাল বুধবার থেকে দৈনিক ৩ শতাংশ অর্থ জমা রাখলেই চলবে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর কাছে বিনিয়োগযোগ্য তহবিল কিছুটা বাড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ঋণের শর্তে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মুদ্রানীতি কাঠামো আধুনিকায়নের পরামর্শ দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো এখন দৈনিক ভিত্তিতে টাকা ধার নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। সামনে ১৪ দিন ও ২৮ দিন মেয়াদেও টাকা ধার নিতে পারবে না। ফলে দৈনিক জমা কমিয়ে এনে দুই সপ্তাহ ভিত্তিতে জমা আগের মতো রাখা হয়েছে।
এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের সব তফসিলি ব্যাংককে (ইসলামি শরিয়াহ্–ভিত্তিক ব্যাংকসহ) তাদের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের ন্যূনতম ৪ শতাংশ দুই সপ্তাহের গড় ভিত্তিতে এবং ন্যূনতম সাড়ে ৩ শতাংশ দৈনিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদে জমা রাখতে হয়। তারল্য ব্যবস্থাপনা আরও সুসংহত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৫ মার্চ থেকে পরিবর্তিত হার কার্যকর হবে। নতুন নিয়মে নগদ জমা সংরক্ষণের হার দৈনিক ভিত্তিতে কমপক্ষে ৩ শতাংশ হবে এবং দুই সপ্তাহের গড় ভিত্তিতে তা ৪ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে ২৮ দিনের রেপো বন্ধ হবে। এরপর জুনে ১৪ দিনের রেপো বন্ধ হবে। ফলে ব্যাংকগুলো সপ্তাহে ১ দিন মঙ্গলবার শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নীতি সুদ দিয়ে টাকা ধার করতে পারবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিআরআর কমল, বাড়বে ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা
ব্যাংকিং খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশে নেমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও দৈনিক ভিত্তিতে টাকা ধার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমানতের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নগদ জমা সংরক্ষণে (সিআরআর) পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এত দিন আমানতের বিপরীতে সাড়ে ৩ শতাংশ অর্থ সিআরআর হিসেবে জমা রাখতে হতো, আগামীকাল বুধবার থেকে দৈনিক ৩ শতাংশ অর্থ জমা রাখলেই চলবে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর কাছে বিনিয়োগযোগ্য তহবিল কিছুটা বাড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ঋণের শর্তে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মুদ্রানীতি কাঠামো আধুনিকায়নের পরামর্শ দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো এখন দৈনিক ভিত্তিতে টাকা ধার নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। সামনে ১৪ দিন ও ২৮ দিন মেয়াদেও টাকা ধার নিতে পারবে না। ফলে দৈনিক জমা কমিয়ে এনে দুই সপ্তাহ ভিত্তিতে জমা আগের মতো রাখা হয়েছে।
এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের সব তফসিলি ব্যাংককে (ইসলামি শরিয়াহ্–ভিত্তিক ব্যাংকসহ) তাদের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের ন্যূনতম ৪ শতাংশ দুই সপ্তাহের গড় ভিত্তিতে এবং ন্যূনতম সাড়ে ৩ শতাংশ দৈনিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদে জমা রাখতে হয়। তারল্য ব্যবস্থাপনা আরও সুসংহত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৫ মার্চ থেকে পরিবর্তিত হার কার্যকর হবে। নতুন নিয়মে নগদ জমা সংরক্ষণের হার দৈনিক ভিত্তিতে কমপক্ষে ৩ শতাংশ হবে এবং দুই সপ্তাহের গড় ভিত্তিতে তা ৪ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে ২৮ দিনের রেপো বন্ধ হবে। এরপর জুনে ১৪ দিনের রেপো বন্ধ হবে। ফলে ব্যাংকগুলো সপ্তাহে ১ দিন মঙ্গলবার শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নীতি সুদ দিয়ে টাকা ধার করতে পারবে।