শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন ঢাবির সাবেক অধ্যাপক
Published: 4th, March 2025 GMT
নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন শরণার্থী ও শ্রম অভিবাসন বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সি আর আবরার।
আগামীকাল বুধবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে তিনি শপথ গ্রহণ করবেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। একসঙ্গে দুটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ কারণে ড. সি আর আবরার উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিচ্ছেন।”
অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের ১৯৫২ সালের ১৭ আগস্ট ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন এবং ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর তিনি যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৯ সাল থেকে টানা চার দশক ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন।
এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের খ্যাতিমান অধ্যাপক এবং শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কলমাকান্দায় এক অন্তঃসত্ত্বাসহ দুই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় অন্তঃসত্ত্বা নারী ও এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার পৃথক দুটি স্থান থেকে স্থানীয় থানা-পুলিশ ওই দুটি মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
মারা যাওয়া দুজন হলেন কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের শিংপুর গ্রামের এহসানুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী লিজা আক্তার (২০) এবং লেংগুরা ইউনিয়নের তারানগর গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নুরুন্নাহার (২৩)।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৮ মাস আগে লিজা আক্তারের সঙ্গে এহসানুল হকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে লিজা কলমাকান্দা মধ্য বাজারে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। কয়েক মাস ধরে লিজা ও তাঁর স্বামীর মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। আজ দুপুরে লিজা শোবার কক্ষের দরজা বন্ধ করে ছিলেন। পরিবারের লোকজন তাঁর সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘরের দরজা ভেঙে গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় গৃহবধূ লিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে অন্তঃসত্ত্বা ও এক সন্তানের জননী নুরুন্নাহার প্রতিদিনের মতো গত সোমবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সাহ্রি খাওয়ার জন্য নুরুন্নাহারের শাশুড়ি ডাক দিলে তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। এ সময় ওই কক্ষে থাকা নুরুন্নাহারের স্বামী মিজানুর রহমান ঘুম থেকে জেগে বিছানায় স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের মরদেহ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।