চট্টগ্রামে ১৬০ টাকার বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করলে ব্যবস্থা
Published: 4th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় খুচরা পর্যায়ে লিটার প্রতি সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায় খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে। এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই দাম আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.
মেয়র বলেছেন, খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করতে হবে। আমদানিকারক পর্যায়ে দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৩ টাকা এবং পাইকারি পর্যায়ে ১৫৫ টাকা। এটি চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার জন্য প্রযোজ্য হবে।
তিনি বলেন, বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকটের সুযোগে অনেকেই খোলা তেল বেশি দামে বিক্রি করছেন। তাই, আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
মেয়র জানান, বেশি দামে কেউ তেল বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত অভিযান চালাবেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। টিকে ও সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা এবং ভোক্তা সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর য য ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
৭ খুন মামলা: উচ্চ আদালতের রায় কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতদের স্বজনরা। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের সহধির্মিনী ও নাসিক ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সেলিনা ইসলাম বিউটি, নুর মোহাম্মাদ ও আবুল খায়েরসহ অন্যান্যরা। বক্তারা অবিলম্বে উচ্চ আদালতের রায় কার্যকরের দাবি জানান।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে। সাতজনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের ১১ মাস পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশ দুটি মামলার অভিন্ন চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। চার্জশিটে নাসিক ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নুর হোসেন, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ, সাবেক কোম্পানি কমান্ডার মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার মাসুদ রানাসহ ৩৫ জনকে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত দণ্ড প্রদান করেন। এর মধ্যে ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
উচ্চ আদালতে ২৬ জনের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। বাকী ৯ জনকে দেওয়া কারাদণ্ডের রায় উচ্চ আদালত বহাল রাখেন। মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বলে জানা গেছে।