মিম, দীঘি ও ইমনরা একসঙ্গে যে ঘোষণা দিলেন
Published: 4th, March 2025 GMT
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে উদ্বোধন হলো অথেনটিক কসমেটিক্স স্টোর ‘হারল্যান স্টোর’র ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট। উদ্বোধন অনুষ্ঠান জমকালো হয়ে ওঠে তারকাদের উপস্থিতিতে। উপস্থিত ছিলেন হারল্যান স্টোরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মিম ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। আরও উপস্থিত ছিলেন রিমার্ক-হারল্যানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন।
এ সময় জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করে হারল্যান স্টোরের পক্ষ থেকে ‘হারল্যান ঈদের খুশি, নতুন স্কুটিতে হবে বেশি’ ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দেয়া হয়। যার অধীনে ক্রেতারা হারল্যান স্টোরের পণ্য ক্রয় করে আকর্ষণীয় স্কুটি জেতার সুযোগ ও লক্ষ লক্ষ টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার পেতে পারবেন।
ঈদ-উল-ফিতর-২০২৫ উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী হতে যাওয়া এই ক্যাম্পেইনে হারল্যান স্টোর দিচ্ছে আকর্ষণীয় নতুন স্কুটি জেতার সুযোগ ও লক্ষ লক্ষ টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।
অনুষ্ঠানে হারল্যান স্টোরের পক্ষ থেকে ‘হারল্যান ঈদের খুশি, নতুন স্কুটিতে হবে বেশি’ ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দেন নায়ক ইমন। এ সময় তিনি বলেন, দেশের মানুষকে আন্তর্জাতিকমানের অভিজ্ঞতা দিতে হারল্যান স্টোর সদা সচেষ্ট। হারল্যান নিয়ে এসেছে নতুন স্কুটি জেতার সুযোগ। এছাড়া লাখ লাখ টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।
অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন বলেন, ‘দেশের মানুষকে আন্তর্জাতিকমানের অভিজ্ঞতা দিতে হারল্যান স্টোর সদা সচেষ্ট। তারই ফলশ্রুতিতে সারা দেশে দেড় শতাধিক আউটলেটের পাশাপাশি এবার যাত্রা শুরু করলো হারল্যানের এই ফ্ল্যাগশিপ স্টোরটি। এখানে থেকেই ‘হারল্যান ঈদের খুশি, নতুন স্কুটিতে হবে বেশি’ ঘোষণা দেওয়া হলো।
এ সময় পুরো স্টোরটি ঘুরে ঘুরে দেখেন বিদ্যা সিনহা মিম। তিনি বলেন, হারল্যান আমাদের পরিবার। এই পরিবারের নতুন সদস্য বাড়ল। মানে নতুন আরও একটি ফ্ল্যাগশিপ স্টোরের যাত্রা হলো। আশা করি মানুষ আরও বেশি হারল্যানের কাছকাছি আসবে।
.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বেনুভিটা মানমন্দির থেকে ‘প্ল্যানেটারি প্যারেড’ দর্শন
চারপাশ নীরব-নিস্তব্ধ। এরই মাঝে রাতের আকাশে তাক করে রাখা টেলিস্কোপ। সেখানে চোখ রেখে কিছু মানুষ দেখছে ‘প্ল্যানেটারি প্যারেড’। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত এ আয়োজন ছিল গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিন্দুবাড়ী এলাকার বেনুভিটা মানমন্দিরে। সেখানে বিরল মহাজাগতিক এ দৃশ্য দেখতে সমবেত হয়েছিল কিছু বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। তাদের কেউ পর্বতারোহী, কেউ আবার সংস্কৃতি চর্চায় জড়িত।
নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ছিল খুদে শিক্ষার্থীরাও। আয়োজকরা জানান, পৃথিবী থেকে একসঙ্গে মঙ্গল, বৃহস্পতি, ইউরেনাস, শুক্র, নেপচুন, বুধ ও শনি গ্রহ দেখার জন্য তাদের এ আয়োজন। সৌরজগতের এই সাত গ্রহ এদিন এক কাতারে চলে আসে; যা জোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় ‘প্ল্যানেটারি প্যারেড’ বা গ্রহের কুচকাওয়াজ হিসেবে পরিচিত।
আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী কাবেরী জান্নাত বলেন, অভূতপূর্ব মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে পৃথিবীর মানুষ। সৌরজগতের সাতটি গ্রহ একসঙ্গে দেখতে পাওয়া গেল। এই দৃশ্য আবার দেখা যাবে ২০৪০ সালে। দিগন্তের নিম্নরেখায় অবস্থান করায় শনি গ্রহটিকে খালি চোখে দেখা যায়নি; টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখা গেছে। ইউরেনাস ও নেপচুন দেখতেও টেলিস্কোপের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।
কাবেরী জান্নাত আরও বলেন, বিরল এ দৃশ্য দেখার জন্য সূর্যাস্তের পর কয়েক মিনিট মাত্র সময় পাওয়া যায়। এরপরই গ্রহগুলো দিগন্তে মিলিয়ে যায়। শুক্র, বৃহস্পতি ও মঙ্গল এই তিন গ্রহকে বেশ সময় ধরে দেখা গেছে। মহাজাগতিক পর্যবেক্ষক নূর মুহাম্মদ পরম যত্ন নিয়ে তাদের এই গ্রহের কুচকাওয়াজ দেখিয়েছেন। তিনিই প্রতিটি গ্রহের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে আকাশ পর্যবেক্ষণে সহযোগিতা করিয়েছেন।
পর্বতারোহী ও প্রশিক্ষক মহিউদ্দিন মাহীর সঙ্গে সেখানে ছিলেন তাঁর দলের
সদস্যরাও। বিরল এ দৃশ্য দেখতে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, খুব আনন্দ পেয়েছে এই প্ল্যানেটারি প্যারেড দেখে। আকাশে যে এত কিছু আছে, সেটা তাদের জানা ছিল না। মহাজগৎ সম্পর্কে তাদের আগ্রহ আরও বেড়েছে।