রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ঋতুরাজ বসন্তের আগমন যেন এক নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। শীতের শুষ্কতা কাটিয়ে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে। পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়াসহ নানা ফুলের রঙে সেজেছে গাছপালা।

পাতাঝরা গাছগুলোতে দেখা দিচ্ছে নতুন কুঁড়ি। দক্ষিণা বাতাসের মৃদু শিহরণ আর পাখির কূজনে সুরেলা হয়ে উঠেছে চারপাশ। নেই কুয়াশার চিহ্ন, বইছে মৃদু বাতাস। ফুল ফুটতে শুরু করেছে, আর ঝরা পাতার দৃশ্য সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আবাসিক হলগুলোর আঙিনাও রঙিন হয়ে উঠেছে ফুলের ছোঁয়ায়। ধীরে ধীরে সবুজের সমারোহে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ।

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য আর শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস মিলেমিশে রাঙিয়ে তুলেছে পুরো ক্যাম্পাস। বসন্তের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে প্রকৃতি ও হৃদয়ের গভীরে। এদিকে শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরেছে সজীবতা। শিক্ষার্থীরা টুকিটাকি চত্বর, শহীদ মিনার, পরিবহন চত্বর, চারুকলা অনুষদসহ বিভিন্ন জায়গায় বসন্তের আবহ উপভোগ করছেন। প্রকৃতির এ পরিবর্তন প্রাণের উচ্ছ্বাস আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

আরো পড়ুন:

এবার ১২ হাজার শিক্ষার্থীকে ইফতার করালো রাবি প্রশাসন

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণইফতার আয়োজন করে অভিনব প্রতিবাদ

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুস সানিহা বলেন, “বসন্ত আমার প্রিয় ঋতু। কিছুদিন আগেও সকালে পাখির ডাক শুনতে পেতাম না, এখন শুনতে পাচ্ছি। ক্যাম্পাসের মৃদু বাতাস বেশ উপভোগ করছি। সকালের মিষ্টি রোদ, বিকেলের শান্ত পরিবেশ আর রাতের স্বচ্ছ আকাশ- সবমিলিয়ে দারুণ লাগছে।”

আইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াশিক ইমতিয়াজ বলেন, “কয়েকদিন আগেও প্রচণ্ড শীতে ক্লাসে যেতে ইচ্ছে করত না। কিন্তু এখন ক্যাম্পাসে এলে মনে হয় বসন্ত পুরোপুরি এসে গেছে! এত সুন্দর আবহ যে, ঘরে ফিরতে মন চায় না। দিনভর এ পরিবেশ উপভোগ করতে চাই।”

ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনুভা হোসেন অর্নি বলেন, “ক্যাম্পাসের পরিবেশ এখন দারুণ লাগছে। বসন্তের আমেজ চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। বসন্তের এ সময়টাকে পুরোপুরি উপভোগ করছি।”

ঢাকা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বসন ত র উপভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার

২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেন, গাজা যুদ্ধসহ বৈশ্বিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই সামরিক ব্যয়ে এ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯.৪ শতাংশ। এটিই টানা দশম বছর, যখন সামরিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও ন্যাটো জোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে সংশয়ের প্রভাবে ইউরোপে সামরিক ব্যয় নজিরবিহীন হারে বেড়েছে। সিপরির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক ব্যয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যা শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির পর সর্বোচ্চ।

বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত ও সৌদি আরব। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৮৯৫ বিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৬.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ১২৬ বিলিয়ন ডলার, ভারত ৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং সৌদি আরব ৭৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার।

সিপরি সতর্ক করে বলেছে, সামরিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে অন্যান্য খাতের বাজেট কমে যাচ্ছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

রাশিয়ার সামরিক ব্যয় ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। এ খরচ দেশটির মোট জিডিপির ৭.১ শতাংশ এবং সরকারি ব্যয়ের ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সামরিক ব্যয় বেড়ে ৬৪.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা তাদের জিডিপির ৩৪ শতাংশ। খবর এনডিটিভির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ