শয়তানের খপ্পর থেকে পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে: আসিফ
Published: 4th, March 2025 GMT
বাংলা সংগীতের যুবরাজ আসিফ আকবর। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশ ও দেশের বাইরে বিশাল ফ্যানবেজ রয়েছে আসিফের। গানের সুবাদে ঘুরেছেন বিশ্বের অনেক দেশ। তবে রাজনৈতিক কারণে এই সংগীতশিল্পীর পাসপোর্ট অনেকদিন আটকা ছিল। বছর দুয়েক আগে তা উদ্ধার করতে পেয়েছেন তিনি। এবার কথা কথায় উঠে এলো পাসপোর্ট ও বিমান নিয়ে কিছু কথা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসিফ লিখেছেন, ‘শয়তানের খপ্পর থেকে পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে প্রায় দুই বছর হলো। ঘুরে বেড়াচ্ছি বিদেশ বিভূঁই। বিদেশ সফরে আমার প্রথম পছন্দ বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (বিমান) আর ইউএস বাংলা। আমি ইকোনমি ক্লাসের টিকেট কাটি। বিজনেস ক্লাস খুব অস্বস্তিকর। কারণ, দামী বলে অপচয় মনে হয়। তবে সিট খালি থাকলে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বিমান কর্তৃপক্ষ বিজনেস ক্লাসে আপগ্রেড করে দেয় এটা খুব সম্মানের সাথে উপভোগ করি।’
আসিফ আরও লিখেছেন, ‘খাবারের মান আর আপ্যায়নে বিমান সেরা, শুধু লাগেজ সেক্টরে পুরনো দৈন্যতা রয়েই গেছে, মাঝে মাঝে ফ্লাইট শিডিউলও ঠিক থাকে না। বিমান হতে পারে দেড় কোটি প্রবাসীর স্বপ্নের ক্যারিয়ার। তাদের মোট এয়ারক্রাফট এখন ২৪টি। টিকেটের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি নিয়ম করেছে পাসপোর্ট ছাড়া টিকেট বুকিং দেয়া যাবে না। এটা করা সম্ভব হলে নাগালের মধ্যে চলে আসবে টিকেটের দাম, ভেঙ্গে যাবে সিন্ডিকেট, প্রবাসী এবং পর্যটকরা পাবেন ন্যায্য দামে টিকেট। লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের মত কিছু অপশন প্রাইভেট কোম্পানির কাছে ছেড়ে দিলে সেবার মানও বৃদ্ধি পাবে।
সফর শেষে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে আসিফ বলেন, ‘শেষ লন্ডন সফরে দেখলাম এক লোক খুব চোটপাট দেখাচ্ছে বিমানের অফিশিয়ালদের সাথে। যখন হিথ্রো'র নিজস্ব সিকিউরিটি আসলো তখন তিনি দমে গেলেন, কারণ ভুলটা তারই ছিল। এই ব্যবহার অবশ্য বিদেশী অন্য এয়ারলাইন্স হলে করতেন না। ব্যাপারটা এ রকম; আমাদের ব্যবহার ফার্মগেটে একরকম, আর জাহাঙ্গীর গেট দিয়ে ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে অত্যন্ত সুবোধ!’
সবশেষে আসিফ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জাতীয় পতাকাবাহী ক্যারিয়ার, বিমান হয়ে উঠুক দেশের মানুষের অহংকারের জায়গা। সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলে এমডি/ সিইও বরাবর মন্তব্য করার ফর্মও আছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-আকাশে শান্তির নীড়। শুভকামনা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গোলাগুলির পর শান্ত পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্ত
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। সোমবার রাতভর তোরখাম সীমান্তে দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার পরিস্থিতি শান্ত হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সোমবার রমজানের প্রথম কর্মদিবসে যখন পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে খাদ্য আমদানি সাধারণত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়, সেই দিনটিতেই এই সংঘাত শুরু হয়। সংঘর্ষের কারণে প্রায় ১৫ হাজার স্থানীয় বাসিন্দা লান্ডি কোটালে পালিয়ে গেছেন।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগান সীমান্তরক্ষীরা কোনো সতর্কতা ছাড়াই সরকারি ভবন এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল।
সোমবার তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একজন তালেবান যোদ্ধা নিহত এবং দুজন আহত হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তাদের বাহিনীর সদস্যরাও আহত হয়েছেন।
তোরখাম ক্রসিং হচ্ছে পাকিস্তান এবং স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানের মধ্যে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনের প্রধান পথ। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
সীমান্তবর্তী শহরে বসবাসকারী আলী শিনওয়ারি রয়টার্সকে বলেন, “দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এবং সীমান্ত ক্রমাগত বন্ধ থাকার কারণে সীমান্ত এলাকার মানুষদের জন্য একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মানুষ খুবই দরিদ্র এবং সীমান্ত সম্পর্কিত ব্যবসার উপর নির্ভরশীল।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের সীমান্ত-এলাকা ফাঁড়ি নির্মাণ নিয়ে বিরোধের কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে তোরখাম ক্রসিং বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ