সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা আজ মঙ্গলবার নিয়োগপত্র পেয়েছেন। কোনো প্রার্থীর যদি নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজ প্রস্তুত থাকে তাহলে তিনি আজকেই যোগদান করতে পারবেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২২টি জেলার মধ্যে বিকেল তিনটা পর্যন্ত ১০টি জেলায় ফোন দিয়ে নিশ্চিত হয়েছি সেখানে প্রার্থীরা নিয়োগপত্র পেয়েছেন। বাকি জেলাগুলোতেও ফোন দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, আজকেই সব জেলার প্রার্থীরা নিয়োগপত্র পাবেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, নিয়োগপত্র পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত থাকলে প্রার্থীরা আজকেই যোগদান করতে পারবেন। প্রার্থীরা নিয়োগপত্র পাওয়ার পর আজ থেকে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত যোগ দিতে পারবেন।

আরও পড়ুনবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে বড় নিয়োগ, পদ ১৫২, দ্রুত আবেদন করুন৫ ঘণ্টা আগে

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে সুপারিশ পাওয়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ হাজার ৫৩১ জনের যথাযথভাবে পূরণকৃত পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য জেলা পুলিশ সুপার (এসবি)/সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে কার্যালয়ে ১৩ মার্চের মধ্যে পাঠানো হবে। এ ছাড়া পদায়ন আদেশ জারি করা হবে ১৩ মার্চ।

নির্ধারিত সময়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি না হলে, জেলা অফিসে যোগদান না করলে বা পদায়িত বিদ্যালয়ে যোগদান না করলে (কারণ ও মতামতসহ) তালিকা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে ২০ মার্চ।

২০২৩ সালের ১৪ জুন এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত বছরের ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ১১ নভেম্বরের এ-সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল। কিন্তু বিষয়টি আদালতে গড়ায়। ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত কয়েকজন প্রার্থী নভেম্বরে রিট করেছিলেন।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, আছে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা০৩ মার্চ ২০২৫

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন এবং চূড়ান্ত ফলাফল ও নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত করেন। রুলে ৩১ অক্টোবরের ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগের বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা-সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নিয়োগ দিতে প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফল ও নির্বাচিত ব্যক্তিদের অনুকূলে নিয়োগপত্র ইস্যুর সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের পর বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে ২৫ দিন ধরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন নিয়োগ বাতিল হওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের একাংশ। আপিল বিভাগের আদেশের পর তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৬ হ জ র ৫৩১ ন য় গপত র প ফল ফল

এছাড়াও পড়ুন:

যুবদল কর্মী হত্যায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সোনা শাহিন বহিষ্কার

বরিশাল নগরীর কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় যুবদল কর্মী সুরুজ গাজী (৩০) হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহিন সরদার ওরফে সোনা শাহিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ছিলেন। 

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু ও সদস্যসচিব খান মো. আনোয়ার হোসেন আজ মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তিতে শাহিন সরদারকে বহিষ্কার করেন। 

উল্লেখ্য, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যুবদল কর্মী সুরুজ গাজীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাহিন সরদারের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।  

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানার ওসির নাজমুল নিশাত জানান, নিহতের বড় ভাই শাহীন গাজী বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ