জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান
Published: 4th, March 2025 GMT
অর্থপাচারের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বহুল আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ইমরান হোসেনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক ছায়েদুর রহমান।
আসামির পক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বর্তমান অ্যাডহক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এর বিরোধিতা করেন।
শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোমবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
মঙ্গলবার বেলা ১টা ২৩ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে এজলাসে তোলা হয় ইমরান হোসেনকে।
সোমবার সিআইডির উপ-পরিদর্শক জোনাঈদ হোসেন মোহাম্মদপুর থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা/মামুন/
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের জন্য কী না করেছি: সাবেক আইজিপি শহীদুল
রাজধানীর কাফরুল থানাধীন এলাকায় আতিকুল ইসলামকে হত্যার মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৩ মার্চ) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে শহীদুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
এ মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকেও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছিল। তাদেরকেও আদালতে হাজির করা হয়।
সকাল ১০টার দিকে তাদেরকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে নেওয়া হয়। তাদেরকে আসামিদের জন্য রাখা ডকে রাখা হয়। এ সময় শহীদুল হক কাঠগড়ার একপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাকে ছটফট করতে দেখা যায়। আইনজীবীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। তবে, কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কথা বলতে দেননি। তারা আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে বলেন। এরপরও আইনজীবীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন শহীদুল হক।
এরইমাঝে ১০টা ৭ মিনিটের দিকে বিচারক এজলাসে ওঠেন। আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। পরে মোহাম্মদপুর থানার এক মামলায় আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। এরপর কামাল আহমেদ মজুমদারের বক্তব্য শোনেন। ১০টা ১৬ মিনিটে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।
এরপর শহীদুল হক আবারও তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তাতে বাধা দেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। তারা শহীদুল হককে বলেন, যার সাথেই কথা বলেন না কেন, আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
পরে শহীদুল হক আক্ষেপের সাথে বলেন, “পুলিশের জন্য কী না করেছি।”
এরপর শহীদুল হকসহ অন্য আসামিদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাতে শহীদুল হককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক