দুবাইয়ে আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে মুদ্রা নিক্ষেপের পরই ভারতীয় সমর্থকদের কেউ কেউ হয়তো অস্ফুটে বলে ফেলেছেন, আবারও! নাহ, রোহিত শর্মাকে নিয়ে আর পারা গেল না। মুদ্রা নিক্ষেপে সৌভাগ্যের দেখা পেতে তাঁকে কি মন্ত্রপূত কোনো ওঝার কাছে নিতে হবে!

আরও পড়ুনপাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি দল থেকে বাদ বাবর, রিজওয়ান ও নাসিম১৪ মিনিট আগে

এসবই রসিকতা। তবে ঘটনা সত্য। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজ সেমিফাইনালেও টস হেরেছেন রোহিত। যেমনটা হেরেছেন এই টুর্নামেন্টে এর আগে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে। চাইলে আরও পিছিয়ে যেতে পারেন। পেছাতে পেছাতে গত বছরও পেরিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরে এসে থামতে হবে। কারণ? ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে টসে জয় পাননি রোহিত। এ নিয়ে টানা ১১টি টস হারলেন ভারতের অধিনায়ক। ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে তাঁর এই দুর্ভাগ্যের শুরু।

টস ভাগ্য মোটেও ভালো যাচ্ছে না রোহিতের.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশিদের থাইল্যান্ডে চিকিৎসা ব্যয় বেড়েছে ২০%: ভিসা

দেশে সামগ্রিকভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ বেড়েছে। মূলত অনলাইন ও কন্ট্যাক্টলেস পদ্ধতিতে অর্থ পরিশোধ বেড়ে যাওয়ায় ডিজিটাল লেনদেনে এই ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। এর মধ্যে কন্ট্যাক্টলেস পদ্ধতিতে লেনদেন বেড়েছে দ্বিগুণ।

দেখা গেছে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ৯০ শতাংশ হয়েছে ২০টি দেশে, যার শীর্ষে আছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত এক বছরে ভারতে বাংলাদেশিদের ব্যয় ১০ শতাংশ কমলেও থাইল্যান্ডে চিকিৎসা পর্যটনের কারণে ব্যয় বেড়েছে ২০ শতাংশ। থাইল্যান্ডে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ খাতে ব্যয় যথাক্রমে ২৫ ও ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা প্রদানে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসার এক বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে। দেখা গেছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যমে সামগ্রিক ভোক্তা ব্যয় ১৪ শতাংশ এবং লেনদেনের পরিমাণ ১৭ শতাংশ বেড়েছে। ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের ব্যবহার, বিশেষত অনলাইন পেমেন্টের প্রসার, এই প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।

ডিজিটাল মাধ্যমে ভোক্তা ব্যয়ে ই-কমার্স খাত শীর্ষে থাকলেও সরাসরি দোকানে কার্ড ব্যবহার ও অনলাইন লেনদেন—উভয় ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা গেছে। ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে ‘ট্যাপ টু পে’ বা কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্টের ব্যবহার ২০২৩ সালে যেখানে ছিল মাত্র ৬ শতাংশ; ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৩ শতাংশ। মূলত ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে তা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া দেশের ডিজিটাল মাধ্যমে মোট ব্যয়ের প্রায় অর্ধেকই ডিজিটাল ওয়ালেট লোডের মাধ্যমে হয়েছে।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণের হার বেড়েছে। কার্ডের মাধ্যমে ব্যয় বেড়েছে ৫০ শতাংশ। বিশেষ করে বিজনেস ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন বেড়েছে ১৩৫ শতাংশ। এ ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির পরিসর বাড়ছে।

ডিজিটাল লেনদেনের বেশির ভাগই হচ্ছে ঢাকায়। ২০২৪ সালে মোট ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ এবং লেনদেনের ৮০ শতাংশ হয়েছে ঢাকায়। রাজধানীতে ২০২৪ সালে ব্যয় বেড়েছে ২০ শতাংশ। রাজধানীর ৬০ শতাংশ ভোক্তা অনলাইন পেমেন্টে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। গাজীপুর, রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহের মতো শহরেও ডিজিটাল লেনদেন বাড়ছে।

ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের প্রধান সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশিদের মধ্যে ডিজিটাল ও কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্ট দ্রুত বাড়ছে। নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করতে ভিসা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। আমাদের লক্ষ্য, বিশ্বমানের সুরক্ষা দিয়ে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা।’

খাতভিত্তিক ব্যয়ের চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে ভ্রমণ, ছাড়ের দোকান, ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যসেবায় স্থানীয় ব্যয় সর্বাধিক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশিদের থাইল্যান্ডে চিকিৎসা ব্যয় বেড়েছে ২০%: ভিসা
  • নিলামের প্রথম রাউন্ডে দল না পাওয়া রাহানে কেন কলকাতার অধিনায়ক
  • সেমি ফাইনালটা মূলত ভারত বনাম হেড
  • বিএনপি নেতা আমানের দুর্নীতি মামলার রায় ৩০ এপ্রিল
  • স্বামী-স্ত্রী মিলে করেন জাল টাকার ব্যবসা
  • সাবেক মন্ত্রীর বান্ধবীসহ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা 
  • আবাহনীতে ব্রাজিলিয়ান, কিংসে আর্জেন্টাইন
  • গ্রিসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার দুই বছর পূর্তিতে বিক্ষোভ, ধরপাকড়
  • আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সুপার ক্লাসিকোতে কি নেইমার খেলবেন