আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ার পরই গুঞ্জনটা শোনা যাচ্ছিল। পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়তে পারেন বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানদের মতো শীর্ষ তারকারা।

গুঞ্জনটা শেষ পর্যন্ত আংশিক সত্যি হলো। নিউজিল্যান্ড সফরের টি–টোয়েন্টি স্কোয়াডে রাখা হয়নি বাবর ও রিজওয়ানকে। এই সংস্করণ থেকে বাদ পড়েছেন পেসার নাসিম শাহও। তবে ওয়ানডে দলকে যথারীতি নেতৃত্ব দেবেন রিজওয়ান। ওয়ানডে দলে আছেন বাবর ও নাসিমও। তবে এই সংস্করণের দলে ঠাঁই হয়নি আরেক তারকা পেসার শাহিন আফ্রিদির।

আগামী ১৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচটি টি–টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে পাকিস্তান। সফর সামনে রেখে আজ ১৬ সদস্যের টি–টোয়েন্টি ও ১৫ সদস্যের ওয়ানডে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বোর্ড জানিয়েছে, টি–টোয়েন্টি সিরিজ শেষে ওয়ানডে দলে আরেকজনকে যুক্ত করা হবে।

পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি দল

আগা সালমান (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ–অধিনায়ক), আবদুল সামাদ, আবরার আহমেদ, হারিস রউফ, হাসান নেওয়াজ, জাহানদাদ খান, খুশদিল শাহ, আব্বাস আফ্রিদি, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ হারিস, ইরফান খান, ওমেইর বিন ইউসুফ, শাহিন আফ্রিদি, সুফিয়ান মুকিম ও উসমান খান।

পাকিস্তানের ওয়ানডে দল

মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), আগা সালমান (সহ–অধিনায়ক), আবদুল্লাহ শফিক, আবরার আহমেদ, আকিফ জাভেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ইমাম–উল–হক, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, ইরফান খান, নাসিম শাহ, সুফিয়ান মুকিম ও তৈয়ব তাহির।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ র জওয় ন

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, বন্ধ মানবিক সহায়তাও

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ঘরবাড়ি ও তাঁবুর মতো আশ্রয়কেন্দ্রও ইসরায়েলি বর্বরতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার দেশটি। পাশাপাশি আট সপ্তাহ ধরে উপত্যকায় খাদ্য, ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। এ পরিস্থিতিকে জাতিসংঘ সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট হিসেবে বর্ণনা করেছে। 

আলজাজিরার সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, বুধবার রাতভর এবং বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মধ্য গাজার নুসেইরাতের কাছে একটি তাঁবুতে তিন শিশু এবং গাজা শহরের একটি বাড়িতে এক নারী ও চার শিশু নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক এক হামলায় স্থানীয় সাংবাদিক সাঈদ আবু হাসানাইনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ২৩২ সাংবাদিক নিহত হলেন।
 
গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে আলজাজিরার তারেক আবু আযুম বলেন, অবরুদ্ধ উপত্যকা স্পষ্টতই ইসরায়েলি সেনা বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের সাক্ষী হচ্ছে। এখানকার অক্ষত ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোও গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকারীরাও অসহায় হয়ে পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের কাছে পৌঁছানোর জন্য তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
 
অধিকৃত পশ্চিম তীর পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘ইসরায়েলের আক্রমণের কোনো বিরতি নেই, কোনো করুণা নেই, কোনো মানবতা নেই।’
 
প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল ত্রাণ সহায়তা অবরোধ করে রাখায় গাজার মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এটিকে জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ‘ফিলিস্তিনি জীবনের ইচ্ছাকৃত ধ্বংসাবশেষ’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকা এখন সম্ভবত ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর ১৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
 
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অপুষ্টির সম্মুখীন নারী ও শিশুদের বিপজ্জনক ও বিপর্যয়কর ক্ষতির কথা তুলে ধরেছে। তারা অনেকেই পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় জল এবং শিশুর খাবারের অভাবের মুখোমুখি হয়েছে। ইসরায়েলের গাজায় সাহায্য পাঠাতে অব্যাহত অস্বীকৃতি ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক আদালতের একটি আদেশকে লঙ্ঘন করে। সেই আদেশে দুর্ভিক্ষ ও অনাহার রোধে জরুরি ভিত্তিতে উপত্যকায় সাহায্য পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
 
গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে রাখা নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) আগামী সপ্তাহে হেগে অনুষ্ঠিত গণশুনানির একটি সূচি প্রকাশ করেছে। সেখানে গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে জাতিসংঘ, এনজিওর কার্যকলাপকে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে ইসরায়েলের আইনি বাধ্যবাধকতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। আগামী সোমবার শুরু হতে যাওয়া এ শুনানির আগে প্রায় ৪৫টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা লিখিত বিবৃতি জমা দিয়েছে।
 
হাসপাতাল সূত্র আলজাজিরাকে জানিয়েছে, বুধবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ১৮ মাসে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫১ হাজার ৩০৫ জন নিহত এবং ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৬ জন আহত হয়েছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ