কানাডা হাইকমিশনে চাকরি, বেতন বছরে ২০ লাখ ৭৩ হাজার
Published: 4th, March 2025 GMT
কানাডা হাইকমিশন ঢাকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ প্রতিষ্ঠানে পলিটিক্যাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার পদে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী বাংলাদেশি প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম: পলিটিক্যাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্স, আইন, সাংবাদিকতা/কমিউনিকেশনস, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস, অর্থনীতি, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। উল্লিখিত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সরকারি, বেসরকারি বা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থায় অন্তত চার বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হতে হবে। ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় সাবলীল হতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক ও সিকিউরিটি ডাইনামিকস বিষয়ে জানাশোনা থাকতে হবে। কানাডার ফরেন পলিসি সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে। এমএস অফিস স্যুট ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের কাজ জানতে হবে। গ্রাফিক ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের কাজ জানা থাকলে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফরাসি, চট্টগ্রাম ও রোহিঙ্গা ভাষায় যোগাযোগে দক্ষতা থাকলে ভালো। ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক
কর্মঘণ্টা: সপ্তাহে ৩৭.
কর্মস্থল: ঢাকা (কানাডার হাইকমিশন)
বেতন: বছরে বেতন ২০,৭৩,১২১ টাকা।
আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের হাইকমিশন অব কানাডার ওয়েবসাইটের এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে হবে। এরপর একই লিংকে Apply Here বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সময় কোনো সমস্যা হলে এ ঠিকানায় মেইলে যোগাযোগ করা যাবে।
আবেদনের শেষ সময়: ১১ মার্চ ২০২৫।আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, আছে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা০৩ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনকেয়ার বাংলাদেশে চাকরি, বেতন ১ লাখ ৮৫ হাজার১ ঘণ্টা আগে
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।