শেন ওয়ার্নের মৃত্যুতে শোক ছাপিয়ে অবিশ্বাস
Published: 4th, March 2025 GMT
একটা মৃত্যুশোকেই আচ্ছন্ন হয়ে ছিল ক্রিকেট বিশ্ব। রাওয়ালপিন্ডিতে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান টেস্ট ম্যাচের আগে যে খবর পেয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে দুই দল, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা নেমেছেন কালো আর্মব্যান্ড পরে। কে জানত, সেই রাতেই এমন এক দুঃসংবাদ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে যে রডনি মার্শের চলে যাওয়ার শোককে ছাপিয়ে গিয়ে সবাইকে তা অবিশ্বাসে বিমূঢ় করে দেবে!
সপ্তাহখানেক আগে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার রডনি মার্শ এরপর থেকেই ছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। যা খারাপ কিছু শোনার মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার সময়টা অন্তত দিয়েছিল। কিন্তু শেন ওয়ার্ন আর নেই, বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো এই খবরে শোক তো অনেক পরের অনুভূতি, সবার আগে তো অবিশ্বাস! কোথাও ভুল হচ্ছে না তো!
যে মানুষটা ১২ ঘণ্টা আগে রডনি মার্শের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে টুইট করেছেন, যাঁর শারীরিক কোনো সমস্যার কথা জানা যায়নি কখনো, তিনিই কিনা রডনি মার্শের পিছু পিছু যাত্রা করেছেন অনন্তলোকে। কোথাও ভুল হচ্ছে না তো!
অস্ট্রেলিয়ার অনেক জয়েরই মধ্যমণি ছিলেন শেন ওয়ার্ন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি মেহেরাজ পাঁচ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন দুই তরুণী। তাদের একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পিয়াসের বান্ধবী। তখন পারভেজ সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। তিনি কেন হাসলেন–এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পিয়াসের বান্ধবী। এরপর পিয়াস, মেহেরাজ ও মাহাথিরের সঙ্গে পারভেজদের বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এরপর ক্যাম্পাস থেকে বের হলে পারভেজকে একদল তরুণ ঘিরে ধরে। এ সময় তার বুকে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হন পারভেজ। পরে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।