একটা মৃত্যুশোকেই আচ্ছন্ন হয়ে ছিল ক্রিকেট বিশ্ব। রাওয়ালপিন্ডিতে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান টেস্ট ম্যাচের আগে যে খবর পেয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে দুই দল, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা নেমেছেন কালো আর্মব্যান্ড পরে। কে জানত, সেই রাতেই এমন এক দুঃসংবাদ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে যে রডনি মার্শের চলে যাওয়ার শোককে ছাপিয়ে গিয়ে সবাইকে তা অবিশ্বাসে বিমূঢ় করে দেবে!

সপ্তাহখানেক আগে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার রডনি মার্শ এরপর থেকেই ছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। যা খারাপ কিছু শোনার মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার সময়টা অন্তত দিয়েছিল। কিন্তু শেন ওয়ার্ন আর নেই, বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো এই খবরে শোক তো অনেক পরের অনুভূতি, সবার আগে তো অবিশ্বাস! কোথাও ভুল হচ্ছে না তো!

যে মানুষটা ১২ ঘণ্টা আগে রডনি মার্শের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে টুইট করেছেন, যাঁর শারীরিক কোনো সমস্যার কথা জানা যায়নি কখনো, তিনিই কিনা রডনি মার্শের পিছু পিছু যাত্রা করেছেন অনন্তলোকে। কোথাও ভুল হচ্ছে না তো!

অস্ট্রেলিয়ার অনেক জয়েরই মধ্যমণি ছিলেন শেন ওয়ার্ন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরানের ১৩৩ কোটি টাকা উপার্জন চোরাচালান ও জালিয়াতি করে: সিআইডি

সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান হোসেন চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ১৩৩ কোটি টাকার বেশি অর্থ উপার্জন করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মানি লন্ডারিং মামলায় গতকাল সোমবার ঢাকার মালিবাগ থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর বিষয়ে সিআইডি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিআইডি। সেখানে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিমের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক একরামুল হাবিব।

সংবাদ সম্মেলনে একরামুল হাবিব জানান, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ব্রাহামা জাতের গরু আমদানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন ইমরান। কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ আনতেন। ভুটান ও নেপাল থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে আনতেন। পরে এগুলো তিনি উচ্চ মূল্যে বিক্রি করতেন। তিনি প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু ও ছাগলকে বিদেশি ও ‘বংশীয়’ গরু ও ছাগল বলে প্রচার চালিয়ে উচ্চ মূল্যে কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করতেন। এভাবে আয় করা ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা তিনি বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন। এ ছাড়া অবৈধ ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা ইমরান তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে এফডিআর খুলে বিনিয়োগ করেন।

সিআইডি জানায়, প্রাথমিকভাবে মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য–উপাত্ত পাওয়ার পর গতকাল ইমরান হোসেনসহ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করে সিআইডি। মামলায় ইমরান হোসেন, সাদিক অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম (৪৫) এবং অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মাধ্যমে অর্জিত প্রায় ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।

গত বছর কোরবানির ঈদে ইমরানের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় (প্রাথমিক দর) ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কেনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন তৎকালীন এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত। এরপর আলোচনায় আসে সাদিক অ্যাগ্রো খামার।

বেশি দামে গরু বিক্রি করে আলোচিত ছিল সাদিক অ্যাগ্রো। দেশে নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের ১৮টি গরু আমদানি করেছিল সাদিক অ্যাগ্রো। কাস্টমস বিভাগ বিমানবন্দরে সেই গরু জব্দ করে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অবশ্য কৌশলে সেই গরু সাদিক অ্যাগ্রোকেই দিয়েছিল।

গত জুলাই মাসে সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ছয় কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

‘উচ্চবংশীয়’ ছাগলের খামার সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান গ্রেপ্তারজব্দ করা ব্রাহমা গরু কৌশলে সাদিক অ্যাগ্রোকে দেয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসাদিক অ্যাগ্রোতে উচ্ছেদ, সরানো হলো ১৫ লাখ টাকার সেই ছাগল

সম্পর্কিত নিবন্ধ