কেবল বলিউড নয়, হলিউডেও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার অভিনয়ের প্রশংসা করেন সিনেমাপ্রেমীরা। তার জীবনের নানা ঘটনা নেটিজেনরা জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। অনেকেরই অজানা প্রিয়াঙ্কা তার বাবার মৃত্যুর মাত্র ৬ দিন পরেই তার মায়ের জমজমাট জন্মদিনের পার্টির আয়োজন করেন।
এ ঘটনা অভিনেত্রীর মা মধু চোপড়া নিজেই শেয়ার করেন। তবে ঘটনাটি সামনে আসতেই কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘বাবা বেঁচে থাকলে তিনি নিজেও মায়ের জন্মদিনটা পালন করতেই চাইতেন। আমি সেই কাজটাই করেছি।’ পাশপাশি, মধু সমালোচনা সহ্য করেছেন ছেলে-মেয়ের মুখ চেয়ে।
মধু জানান, প্রিয়াঙ্কা তার বাবা অশোক চোপড়ার মৃত্যুর পরপরই মায়ের জন্মদিন পালন করেছিল। কারণ একটাই, মায়ের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনা। অশোক চোপড়ার মৃত্যুর পরপরই পার্টির আয়োজন করার জন্য তার কিছু আত্মীয়স্বজন প্রিয়াঙ্কার সমালোচনা করতে শুরু করেন।
প্রিয়াঙ্কার মা মধুর কথায়, ‘আমার জন্মদিন ১৬ জুন। আমার বয়স যখন ৬০, তখন ও আমার জন্মদিনের একটা বড় পার্টির আয়োজন করেছিল। আমার স্বামীর অসুস্থতার কারণে পুরো পরিবার সেই সময় এমনিতেই উপস্থিত ছিলেন। এরপর তিনি মারা যান। সেই সময়টা খুবই কষ্টে কেটেছে দিন। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা সেই বছর আমার জন্মদিন পালনের ব্যাপারে অনড় ছিলেন। এবং সব আত্মীয়কে থেকে যেতে বলেছিলেন। কারণ, ওর বাবাও এমনটাই চাইতেন।’
প্রসঙ্গত, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বাবা অশোক চোপড়া দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করার পর ২০১৩ সালে মারা যান। অশোক চোপড়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক ছিলেন। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডুয়েট ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর ১৫ নেতার পদত্যাগ
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) শাখা ছাত্রদল কমিটি ঘোষণার পরপরই সভাপতিসহ ১৫ নেতা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করা নেতাদের অভিযোগ, কমিটিতে ছাত্রশিবির, অছাত্র ও ছাত্রলীগকে স্থান দেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাতে এ কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছিরউদ্দিন নাছির। এতে আশরাফুল হককে সভাপতি এবং জামিরুল ইসলাম জামিলকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৮ সদস্যের ডুয়েট ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এই কমিটি ঘোষণার পরপরই নেতারা গণপদত্যাগ করেন। পদত্যাগকারী নেতাদের অভিযোগ, কমিটিতে যাকে (নাছিরউদ্দিন নাছির) সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তিনি ছাত্রশিবিরের অনুপ্রবেশকারী। তার বিষয়ে আগে থেকে কেন্দ্র এবং তাদের সাংগঠনিক টিমকে জানানো হলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে তাকে পদায়ন করেই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আদর্শগত ভিন্ন মেরুর হওয়ায় তার সঙ্গে রাজনীতি করা সম্ভব নয়।
তারা আরও বলেন, কমিটিতে বিবাহিত এবং অছাত্র আরাফাত হোসেনকে এক নম্বর সহসভাপতি করা হয়েছে। ইমন মোল্ল্যার বিরুদ্ধে বিগত দিনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সরাসরি সক্রিয় থাকার প্রমাণ রয়েছে। ছাত্রদলের মতো আদর্শিক সংগঠনের একটি ইউনিট কমিটিতে ছাত্রশিবির, অছাত্র আর ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারী থাকলে সেখানে অন্তত আদর্শের রাজনীতি হতে পারে না।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- নতুন কমিটির সভাপতি আশরাফুল হক, সহসভাপতি হাসান আল বান্না, আব্দুল কাদের, শাহ আলম মিয়া, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মো. ইব্রাহীম, শাকিল আহমেদ, মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন সিকদার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু সালেহ মানিক, দপ্তর সম্পাদক সাহেদ আলম, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সমাজসেবা সম্পাদক তৌফিক এলাহী, ক্রীড়া সম্পাদক রাকিব হোসেন মজুমদার।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক টিমের সদস্য মিয়া মোহাম্মদ রাসেল বলেন, সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই কমিটি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের যে অভিযোগ উঠেছে সেরকম কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।