জাতীয় দলে জায়গা হয়নি। অপ্রত্যাশিতভাবেই তাকে আড়াল হতে হয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে। দলে ফেরার জেদ থেকেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে উজার করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেই জেদ থেকে ভয়ংকর রূপে হাজির হলেন প্রথম ম্যাচে।

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জার্সিতে বাঁহাতি পেসার কারিশমা দেখালেন। ১০ ওভার বোলিং করে দিলেন মাত্র ১৪ রান। যেখানে ডট বলই ছিল ৫০টি। উইকেট পেয়েছেন ৪টি। ১টি উইকেটের জন্য ফাইফার পাননি। নয়তো নিশ্চিতভাবেই পূর্ণতা পেত তার দুর্দান্ত বোলিং।

তাতে আক্ষেপ থাকার কথা না। তার দল জিতেছে অনায়েসে। বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে মাত্র ৯৩ রানে অলআউট করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ৩৮.

৫ ওভারে তারা গুটিয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ কোনো উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ১৩.৫ ওভারে।

আরো পড়ুন:

মেজাজ হারালেন শান্ত, বড় হারে আবাহনীর শুরু

খাদের কিনারা থেকে দলকে তুলে শামীমের ঝকঝকে ৯৮

তাদের জয়ের নায়ক শরিফুল। নতুন বলে শুরুতেই নিজের চেনা রূপে হাজির হন তিনি। ম্যাচের প্রথম বলে উইকেটের স্বাদ পান। তার ইনসুইং ডেলিভারীতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। যদিও আউট নিয়ে প্রবল অসন্তুষ্ট ছিলেন এনামুল। আম্পায়ারকে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে দেখাচ্ছিলেন বল তার থাই প্যাডে স্পর্শ করেছে।

প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে শরিফুল দ্বিতীয় উইকেট পান। এবার আউটসুইং ডেলিভারীতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সালমান হোসেন ইমন। দ্বিতীয় ওভারে আসে জোড়া সাফ্যল। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও শেখ পারভেজ হোসেন জীবনকে তিন বলের ব্যবধানে বোল্ড করেন শরিফুল।

শুরুর দুই ওভারেই শরিফুলের পকেটে ৪ উইকেট। শুরুর ওই দাপট শরিফুল ধরে রেখেছিলেন পরবর্তী ওভারগুলোতেও। কিন্তু উইকেটের স্বাদ পাননি। অবশ্য তার সতীর্থরাও ছিলেন দারুণ। বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব ও সাইফ হাসান। তাতে শতরানের আগেই গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ইনিংস।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাইফ হাসানের ২৭ ও তানজিদ হাসান তামিমের ৬৫ রানে সহজেই জয় নিশ্চিত হয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। তানজিদ ৪৬ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ রান করেন। সাইফ ৩৮ বলে ৫ চারে সাজান ২৭ রানের ইনিংস।

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে ১৬০ টাকার বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করলে ব্যবস্থা 

চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় খুচরা পর্যায়ে লিটার প্রতি সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায় খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে। এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই দাম আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

মেয়র বলেছেন, খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করতে হবে। আমদানিকারক পর্যায়ে দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৩ টাকা এবং পাইকারি পর্যায়ে ১৫৫ টাকা। এটি চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার জন্য প্রযোজ্য হবে।

তিনি বলেন, বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকটের সুযোগে অনেকেই খোলা তেল বেশি দামে বিক্রি করছেন। তাই, আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মেয়র জানান, বেশি দামে কেউ তেল বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত অভিযান চালাবেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। টিকে ও সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা এবং ভোক্তা সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ