দর বৃদ্ধির শীর্ষে ইন্দো-বাংলা ফার্মা
Published: 4th, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ইন্দো-বাংলা ফার্মা লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। কোম্পানিটি ৭২১ বারে ৪৮ লাখ ২৫ হাজার ৮১৭ টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
তালিকায় ২য় স্থানে থাকা লিন্ডে বিডির শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। কোম্পানিটি ৩ হাজার ৩২৩ বারে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৬৭ টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
তালিকার ৩য় স্থানে থাকা এশিয়ার টাইগার সন্ধ্যানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডের ইউনিট দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ফান্ডটি ৩২৩ বারে ২৬ লাখ ৫৬ হাজার ৮৯৬ টি ইউনিট লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে –
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: দর ব দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের গ্রাম ও নগরায়নের সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে ঢাকায় সেমিনার
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘উন্নয়নের নতুন ধারণা: চীনের গ্রামীণ ও নগরায়নের সমন্বিত কৌশল’ বিষয়ে সেমিনার।
সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে অনুষ্ঠিত হয় এই সেমিনার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ আয়োজন করে এই সেমিনারের। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. চিয়াওছুন শি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চীনের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিড চেয়ার ড. প্রফেসর লি সিয়াও ইয়ুন।
আরো পড়ুন:
গঙ্গার পানি প্রবাহ খতিয়ে দেখলেন ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের সদস্যরা
গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়ন: ভারত যাচ্ছে বাংলাদেশের দল
মূল প্রবন্ধে লি সিয়াও ইয়ুন তুলে ধরেন চীনের ঐতিহাসিক পটভূমি।১৯ শতকের মাঝামাঝি থেকে জোরপূর্বক আধুনিকীকরণ এবং কৃষি বিপ্লব ছাড়াই শিল্পায়নের গল্প। এরপর তুলে ধরেন নতুন চীন প্রতিষ্ঠার শুরুতে ১৯৫০-১৯৭০ এর দশকে শিল্পায়নে কৃষির ভূমিকা ।
লি সিয়াও ইয়ুন বলেন, সংস্কার এবং উন্মুক্তির পর ১৯৮০ থেকে ৯০-এর দশকে কৃষি, শিল্প এবং শহুরে উন্নয়নের একীভূত উন্নয়ন ঘটে চীনে। পাশাপাশি তুলে ধরেন একবিংশ শতকের শুরু থেকে শহর-গ্রামীণ সমন্বিত উন্নয়নের ধারণাটিও।
এরপর উঠে আসে চীনের দারিদ্র্য বিমোচনের গল্প। গ্রাফ চিত্রে দেখানো হয় ২০১২ সালে চীনে প্রায় ১০ কোটি মানুষ ছিল দরিদ্র। এরপরই সরকার শুরু করে জাতীয় দারিদ্র্য বিমোচন অভিযান। যেখানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৯.৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কয়েক বছরের ধারাবাহিক চেষ্টায় ২০২০ সালে দারিদ্র্যমুক্ত হয় চীন।
চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক রূপান্তর, দারিদ্র্য নির্মূল এবং গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনে অসাধারণ ফলাফল অর্জনের কারণ হিসেবে রাজনৈতিক পার্টির ধারাবাহিক কৌশলগত আধুনিকীকরণকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন ড. লি।
তার মতে, দীর্ঘমেয়াদি টেকসই ও সমন্বিত উন্নয়নে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিবেশই ভূমিকা রেখেছে এবং কৃষির উন্নয়নই কৃষি-প্রধান ও গ্রামভিত্তিক দেশগুলোর উন্নয়নের ভিত্তি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে চীনের এই সমন্বিত উন্নয়ন কৌশল কীভাবে বাংলাদেশেও কাজে লাগানো যায় তা নিয়েও মতামত তুলে ধরেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. চিয়াওছুন।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. চিয়াওছুন বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ বা এলএমআইসি হিসেবে উন্নীত হচ্ছে।
অন্যদিকে, কৃষি খাত এবং গ্রামীণ জীবিকা একটি বড় রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এলডিসি পরবর্তী দৃশ্যপটে, বাংলাদেশে গ্রামীণ-শহুরে সংযোগগুলো অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। দেশটি অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে উন্নত অবকাঠামো, বাজারের প্রবেশাধিকার এবং ডিজিটাল সংযোগ গ্রামীণ উৎপাদকদের সঙ্গে শহুরে ভোক্তাদের ব্যবধান কমাচ্ছে। এই সংযোগগুলোর শক্তিশালীকরণ কৃষি মূল্য চেইন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান তৈরি এবং সুষম আঞ্চলিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে। এর মাধ্যমেই টেকসই নগরায়ন এবং গ্রামীণ উন্নয়নও সম্ভব হবে।
দুই ঘণ্টাব্যাপী উন্নয়নের নতুন ধারণার এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।এছাড়া দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/এসবি