সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগে মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায়ের জন্য আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন।

এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৭ বছরের সাজা স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।

২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট, সেই সঙ্গে তাকে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। বিচারিক আদালতের রায়ে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া ৭ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।  তবে বিচারিক আদালতে মামুনকে দেওয়া ৪০ কোটি টাকার জরিমানা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়।

হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে বিলম্ব মার্জনা চেয়ে চলতি বছর লিভ টু আপিল করেন গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। গেল বছর ১০ ডিসেম্বর সাজার রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর তারেক ও মামুনকে আসামি করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ওই টাকা বিভিন্ন পদ্ধতিতে সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের ব্যাংক হিসাবে পাচার করা হয়।  ওই টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তুলে খরচ করেন তারেক রহমান।

২০১১ সালের ৬ জুলাই এই মামলার বিচার শুরু হয়।  রায় হয় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর।  রায়ে তারেক রহমানকে খালাস এবং গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর, ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় দুদকের করা আপিলের সঙ্গে কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের ওপর হাইকোর্টে একসঙ্গে শুনানি হয়। ২০১৬ সালের ২১ জুলাই হাইকোর্ট রায় দেন।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: দ ন আল ম ম ন ত র ক রহম ন ৭ বছর বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

একুশে পদকজয়ী নিয়াজ জামানকে আইইউবির সংবর্ধনা

শিক্ষা ও সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য একুশে পদক-২০২৫ জয়ী শিক্ষাবিদ, লেখক ও অনুবাদক অধ্যাপক নিয়াজ জামানকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)। গত বুধবার সন্ধ্যায় আইইউবি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আইইউবির ট্রাস্টি, উপাচার্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা ছাড়াও শিক্ষা ও সাহিত্যানুরাগীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অধ্যাপক নিয়াজ জামানের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করেন আইইউবির ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেস বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা। অধ্যাপক নিয়াজ জামানের লেখা একটি ছোটগল্প থেকে কিছু অংশ পড়ে শোনান তিনি।

এরপর নিয়াজ জামানের কর্মজীবন, একুশে পদক প্রাপ্তি, আইইউবির অগ্রগতিতে তাঁর অবদানসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন আইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জাভেদ হোসেন, উপাচার্য অধ্যাপক ম. তামিম, ফিজিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক ড. আহমাদ মোস্তফা কামাল।

অধ্যাপক নিয়াজ জামান তাঁর বক্তব্যে আইইউবিতে তাঁর শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ।

আইইউবির ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেস বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক নিয়াজ জামান। তিনি ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর এবং জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৮৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তাঁর শিক্ষকতা জীবন শুরু হয় ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও হলি ক্রস কলেজে। এরপর তিনি কাজ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৭২ সালে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে, যেখানে তিনি কাজ করেছেন ২০১৩ সালে অবসর নেওয়ার আগপর্যন্ত। ২০০৬ সাল থেকে তিনি আইইউবির ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালেখিতেও অধ্যাপক নিয়াজ জামান রেখেছেন সমান দক্ষতার ছাপ। লিখেছেন তিনটি উপন্যাস, তিনটি ছোটগল্পের বই এবং সাতটি শিশুতোষ গ্রন্থ। বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প নিয়েও তাঁর কাজ প্রশংসিত হয়েছে। ‘দ্য আর্ট অব কাঁথা এমব্রয়ডারি’ এবং ‘টেক্সটাইলস ফ্রম বেঙ্গল: আ শেয়ার্ড লেগাসি’ গ্রন্থে উঠে এসেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্পের গল্প। অনুবাদেও নিয়াজ জামানের রয়েছে সমান দক্ষতা।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে নিয়াজ জামান পেয়েছেন বাংলা একাডেমি অনুবাদ পুরস্কার (২০১৬), অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (২০১৩), আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড (২০১৭) সহ নানা সম্মাননা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অর্থপাচার মামলায় তারেক ও মামুনের আপিলের রায় ৬ মার্চ
  • একুশে পদকজয়ী নিয়াজ জামানকে আইইউবির সংবর্ধনা
  • সাতক্ষীরার সাবেক ডিসি নাজমুল আহসানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন