মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ছিনতাইকারী সন্দেহে তিনজনকে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এ সময় তাদের বহনকরা মাইক্রোবাসটিও ভাঙচুর করে স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ষোলঘর সার্ভিস লেনে এ ঘটনা ঘটে। 

মারধরের শিকাররা হলেন- টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মোহাম্মদ আলীর ছেলে জুয়েল (৪০), পটুয়াখালীর লোহালিয়া এলাকার ইদ্রিস মৃধার ছেলে বাচ্চু (৩৫) ও গলাচিপা চরপাড়া গোয়ালিয়া এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে হাফিজ (৬০)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছিনতাই শেষে মাইক্রোবাসে করে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যাচ্ছে এমন সংবাদে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেয় স্থানীয়রা। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসের বেপরোয়া গতিবিধির কারণে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয়রা সড়কে ট্রাক রেখে মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে এবং মাইক্রোবাসে থাকা ৩ জনকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ এসে আহত অবস্থায় তাদের হেফাজতে নিয়ে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ জনকে হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, তারা অসৎ উদ্দেশ্যেই এখানে এসেছে। 

বিস্তারিত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/রতন/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

মেজর সিনহা হত্যা মামলার আপিলের শুনানি শুরু

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল বুধবার এ শুনানি শুরু হয়।

মামলার পেপারবুক (রায়সহ যাবতীয় বৃত্তান্ত) থেকে এফআইআর ও জব্দ তালিকা আদালতে পড়ে শোনান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমায়ুন কবির মঞ্জু। তিনি শুনানিতে বলেন, এটি আলোচিত মামলা। সারাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। আজ বৃহস্পতিবার ফের শুনানির দিন ধার্য রাখা হয়েছে।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহাজাহান। এর আগে গত সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেজর সিনহা হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের এই বেঞ্চকে নির্ধারণ করে দেন।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সিনহা মো. রাশেদ খানকে। তিনি কয়েকজন তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র বানানোর জন্য কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় রায় দেন  কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ