স্কুলের মাঠে বসানো হচ্ছে মরিচের হাট
Published: 4th, March 2025 GMT
নীলফামারীর ডোমারে পাঙ্গা মহেশ চন্দ্র লালা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অস্থায়ী হাট বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই এলাকার শিশুদের স্বাভাবিক খেলাধুলা ও দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠের এক পাশে মাসব্যাপী মরিচের হাট বসানোর জন্য বাঁশ দিয়ে দোকান তৈরি করছেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে মাঠের একটি অংশ দখল হয়ে যাচ্ছে।
মেলাপাঙ্গা হাট পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব নূর আলম বলেন, “স্কুল মাঠের পাশের জমিটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। সেখানেই হাট বসানোর প্রস্তুতি চলছে। মাঠের এক পাশে কিছু দোকান বসানোর কাজ চলছে। এ বিষয়ে এখনো স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়নি।”
আরো পড়ুন:
টিসিবির ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
আমদানির বদলে ‘ডিমের সিন্ডিকেট’ ভাঙতে হবে: বিপিএ
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আশরাফুল আলম বলেন, “এ বিষয়ে আমি জানি না। যদি এমনটি করা হয়, আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেব। বিদ্যালয়ের মাঠ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। যদি সেখানে অবৈধভাবে হাট বসানো হয়, তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, বিদ্যালয়ের মাঠ শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য নির্ধারিত জায়গা। সেখানে হাট বসানোর প্রস্তুতি নেওয়ার কারণে শিশুরা খেলতে পারছে না। নিষেধ করায় ব্যবসায়ীরা এলাকাবাসীকে হুমকি দিয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.
ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল আলম বলেন, “স্কুল ম্যানেজিং কমিটি মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। খাস জমি ছাড়া স্কুলের মাঠে হাট বসানোর অনুমতি কারো নেই। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সিথুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য় র
এছাড়াও পড়ুন:
আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় আইনি সহায়তা দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইনজীবী নিয়োগ
মাগুরার সেই ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশনকে আইনি সহায়তা দিতে ঢাকা থেকে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সহকারী সচিব মো. মফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অধিদপ্তরের স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যডভাইজর (অ্যাটর্নি জেনারেল এর সমমর্যাদার সুবিধাদি প্রাপ্ত) অ্যডভোকেট মো. এহসানুল হক সমাজীকে এ বিষয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দেশব্যাপী আলোচিত এই মামলায় চারজনকে আসামি করে ৮ মার্চ শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে (৪৭) প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখ (১৯), সজীব শেখের ছোট ভাই রাতুল শেখ (১৭) ও সজীবের মা রোকেয়া বেগমকে (৪০) আসামি করা হয়েছে। তারা চারজনই বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এই শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ২০ এপ্রিল জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এম জাহিদের আদালতে এ শুনানি হয়। শুনানিতে হিটু শেখসহ সব আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৬ মার্চ শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেনটি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন।
এ ঘটনায় গেল ১৩ এপ্রিল জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। তদন্ত প্রতিবেদনে মামলায় চার আসামিকেই অভিযুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে মাগুরা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ইতোমধ্যে অবগতি হয়েছি যে মাগুরার চাঞ্চ্যলকর আছিয়া হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একজন আইনজীবীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যদা সম্পন্ন সুবিধাভোগী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত তিনি মামলার বিষয়ে অবগত হবেন এবং রাষ্ট্রপক্ষ কে সহযোগিতা করবেন।