৪ রানে নেই ৬ উইকেট, গাজীকে ১০ উইকেটে হারাল রুপগঞ্জ
Published: 4th, March 2025 GMT
ঢাকার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন নম্বর মাঠে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। প্রথম চার রান তুলতেই দলটি হারিয়েছে ছয় উইকেট! শেষ পর্যন্ত ৩৮.৫ ওভারে মাত্র ৯৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। শরিফুল ইসলামের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ধস নামে গাজীর ইনিংসে। একাই চার উইকেট নিয়েছেন রূপগঞ্জের এই পেসার।
জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়ে দলকে জয় পাইয়ে দেন দুই ওপেনার সাইফ ও তানজিদ। ৩৮ বলে ২৭ রানে সাইফ ও ৪৬ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন তানজিদ তামিম। ম্যাচসেরা হয়েছেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের শরিফুল ইসলাম।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ। শরিফুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ক্যাচ তুলে দেন এনামুল হক বিজয়। সেই ওভারের পঞ্চম বলে একইভাবে ফেরেন সালমান হোসেন ইমন। এরপরও বিপর্যয় এড়াতে পারেনি দলটি। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই রানআউট হন সাদিকুর রহমান। একই ওভারের চতুর্থ বলে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব এবং শেষ বলে শেখ পারভেজ জীবন বোল্ড হন শরিফুলের বলে। চতুর্থ ওভারে রূপগঞ্জের আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিব বোল্ড করেন শামসুর রহমান শুভকে। ফলে মাত্র চার রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চরম সংকটে পড়ে গাজী গ্রুপ।
এরপর তোফায়েল আহমেদ ও ওয়াসি সিদ্দিকি ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলকে কিছুটা ভরসা দেন। তবে এই পার্টনারশিপ ভাঙেন তানভির ইসলাম। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তোফায়েল (২৪)। এরপর ওয়াসিও (১৮) লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তানভিরের বলে। ৯ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রানে ধুঁকতে থাকা গাজী গ্রুপকে একশর কাছাকাছি নিয়ে যান আব্দুল গাফফার সাকলাইন। ৫০ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে তিনি অপরাজিত থাকেন। তাকে সঙ্গ দেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ (৬*)।
রূপগঞ্জের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিলেন শরিফুল ইসলাম। ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন তিনি। তানভির ইসলাম ২৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড প এল র পগঞ জ র উইক ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিজয়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার রসায়ন, যা বললেন মধু চোপড়া
২০০০ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাব জিতেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার দুই বছর পর তামিল সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ২০০৩ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে। অনেক সংগ্রামের পর বলিউডে শক্ত অবস্থান তৈরি করেন এই নায়িকা।
২০০২ সালে তামিল ভাষার ‘থামিজান’ সিনেমা মুক্তি পায়। অভিষেক চলচ্চিত্রে প্রিয়াঙ্কা তার সহশিল্পী হিসেবে পান থালাপাতি বিজয়কে। এরপর পর্দায় আর একসঙ্গে দেখা যায়নি এই জুটিকে। তবে প্রিয়াঙ্কা এখনো বিজয়কে ভীষণ শ্রদ্ধা করেন। লেহরেন রেট্রো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান প্রিয়াঙ্কার মা মধু চোপড়া।
বিজয়ের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে মধু চোপড়া বলেন, “আসলে, এই প্রকল্পকে ‘না’ করেছিল প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু তারা কোনোভাবে তার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়; তারপর তার বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘গ্রীষ্মের দুই মাসের ছুটিতে তাকে (প্রিয়াঙ্কা) শুটিং করার সুযোগ দিন।’ অনেক বোঝানোর পর তার বাবা কথা দেন। যার ফলে সে (প্রিয়াঙ্কা) কাজটি করে।”
বড় এই প্রজেক্টে বিজয়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার অভিষেক কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করেছেন মধু চোপড়া। পাশাপাশি বিজয়কে শ্রদ্ধা করার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “প্রিয়াঙ্কা সত্যিই বিজয়কে অনেক সম্মান করে। কারণ সে খুব সহনশীল। প্রভু দেবার ভাই রাজু সুন্দরম ছিলেন কোরিওগ্রাফার এবং প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল কঠিন। বিজয় পেশাদার নৃত্যশিল্পী এবং এটি ধরে রাখা কঠিন ছিল। নতুন ভাষা শেখা, সংলাপ বলা এবং নাচ করা কঠিন ছিল।”
প্রিয়াঙ্কা তার কাজ সঠিকভাবে না করার কারণে তাকে তিরস্কার করতেন মা মধু চোপড়া। তার ভাষায়, “আমরা তাকে বলেছিলাম কোনো রিলস নষ্ট করা যাবে না। রুমে ফিরে সন্ধ্যায় তাকে অনুশীলন করানো হয়। এরপর সে তার কাজ সঠিকভাবে করতে থাকে। তারপর মানুষও তার প্রশংসা করতে থাকেন। সময়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কাও অভিনয় উপভোগ করতে থাকে।”
সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকে রুপালি জগতে পা রাখার পর নানা চড়াই-উতরাই পেরুতে হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। সেই যাত্রা পথে বিজয়ের সমর্থন প্রিয়াঙ্কাকে অনেক সাহার্য করেছে। পরবর্তীতে মেধা-শ্রম দিয়ে নিজের অবস্থান গড়ে নেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত