ঢাকার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন নম্বর মাঠে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। প্রথম চার রান তুলতেই দলটি হারিয়েছে ছয় উইকেট! শেষ পর্যন্ত ৩৮.৫ ওভারে মাত্র ৯৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। শরিফুল ইসলামের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ধস নামে গাজীর ইনিংসে। একাই চার উইকেট নিয়েছেন রূপগঞ্জের এই পেসার।

জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়ে দলকে জয় পাইয়ে দেন দুই ওপেনার সাইফ ও তানজিদ। ৩৮ বলে ২৭ রানে সাইফ ও ৪৬ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন তানজিদ তামিম। ম্যাচসেরা হয়েছেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের শরিফুল ইসলাম।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ। শরিফুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ক্যাচ তুলে দেন এনামুল হক বিজয়। সেই ওভারের পঞ্চম বলে একইভাবে ফেরেন সালমান হোসেন ইমন। এরপরও বিপর্যয় এড়াতে পারেনি দলটি। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই রানআউট হন সাদিকুর রহমান। একই ওভারের চতুর্থ বলে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব এবং শেষ বলে শেখ পারভেজ জীবন বোল্ড হন শরিফুলের বলে। চতুর্থ ওভারে রূপগঞ্জের আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিব বোল্ড করেন শামসুর রহমান শুভকে। ফলে মাত্র চার রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চরম সংকটে পড়ে গাজী গ্রুপ।

এরপর তোফায়েল আহমেদ ও ওয়াসি সিদ্দিকি ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলকে কিছুটা ভরসা দেন। তবে এই পার্টনারশিপ ভাঙেন তানভির ইসলাম। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তোফায়েল (২৪)। এরপর ওয়াসিও (১৮) লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তানভিরের বলে। ৯ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রানে ধুঁকতে থাকা গাজী গ্রুপকে একশর কাছাকাছি নিয়ে যান আব্দুল গাফফার সাকলাইন। ৫০ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে তিনি অপরাজিত থাকেন। তাকে সঙ্গ দেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ (৬*)।

রূপগঞ্জের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিলেন শরিফুল ইসলাম। ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন তিনি। তানভির ইসলাম ২৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল র পগঞ জ র উইক ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় দিনটা বৃষ্টি আর নাজমুলের

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মাঠেই ছিলেন আম্পায়াররা। আকাশ পরিষ্কার হয়ে আলোর সংকট কাটে কিনা সেটি দেখতে মিনিট দশেক অপেক্ষা করেছেন তাঁরা। এরপর ঘোষণা দিয়েছেন আজ আর খেলা সম্ভব নয়।

দেরিতে শুরু আর আগেভাগেই শেষ হওয়া সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনটা বাংলাদেশ শেষ করেছে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে। জিম্বাবুয়ের চেয়ে এখন ১১২ রানে এগিয়ে নাজমুল হোসেনের দল। দলের ভরসা হয়ে টিকে আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। আগামীকাল চতুর্থ দিনটা ৬০ রানে শুরু করবেন নাজমুল। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে তাঁর সঙ্গী জাকের আলী অপরাজিত ২১ রানে।

বৃষ্টির কারণে দিনের খেলা শুরু হয় দুপুর ১টা। এরপর খেলা হতে পারে ৪৪ ওভার। ১ উইকেট ৫৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ যোগ করতে পেরেছে ১৩৭ রান।

বৃষ্টিভেজা দিনে ইনিংসের শুরুতে নাজমুল বোলারদের ওপর চড়াও হলেও ধীরে ধীরে ফিরেছেন প্রথাগত টেস্টে মুডে। বিশেষ করে ২৬ রানের একবার জীবন পাওয়ার পর। জিম্বাবুয়ের দুই পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও ভিক্টর নিয়াউচি নাজমুলকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার প্ররোচনা দিয়েছেন বারবারই।  

উদাহরণ হিসেবে ইনিংসের ৩৫তম ওভারের কথা বলা যেতে পারে। নিয়াউচির করা সেই ওভারে ষষ্ঠ-সপ্তম স্টাম্পের পাঁচ–পাঁচটি বল ছেড়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পুরো ইনিংসে অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলগুলোতে ছিলেন বাড়তি সতর্ক। ভুল যে করেননি তা নয়!

৩৮তম ওভারে মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়ায় দ্বিতীয় স্লিপের পাশ দিয়ে বল যায় বাউন্ডারিতে। তৃতীয় স্লিপ থাকলে অনায়াসে হতে পারত ক্যাচ। তবে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা শন উইলিয়ামসের হাতে লেগে বল চলে যায় বাউন্ডারিতে। এরপর ব্যাট ছুড়ে নাজমুল যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, তাতেই বোঝা গেছে নাজমুলের আজ ভুল করতে মানা! প্রথম ইনিংসে মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে মারতে গিয়ে ৪০ রানে আউটের পরই হয়তো এই উপলব্ধি তাঁর।

নাজমুল যা পেরেছেন সিলেটে আজ তা পারেননি মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। দুজনের বিষয়টি অবশ্য ভিন্ন। বাঁহাতি মুমিনুল সকাল থেকে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড টেনেছেন। তবে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে মনযোগ হারান এই ব্যাটসম্যান। নিয়াউচির অফ স্টাম্পের বাইরে পাতা ফাঁদে ধরা পড়েন মুমিনুল।হক। ক্যাচ দেন নিয়াশা মায়াভোর গ্লাভসে।

অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বল ঠিকঠাক খেলতে পারেননি মুমিনুল। ব্যাটে লেগে ক্যাচ যায় উইকেটরক্ষক মায়াভোর কাছে। ভাঙে ৯১ বল স্থায়ী ৬৫ রানের জুটি।

মুশফিক ফেরেন এর পরপরই। ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে বসেন মুশফিক। ৪ রান করা মুশফিকের সহজ ক্যাচ নেন আরভিন।

দিনের বাকি যে সময়টুকুতে খেলা হয়েছে, তাতে ভালোভাবেই সামলেছেন নাজমুল ও জাকের আলী। ১০৩ বলে ৭ চারে ৬০ রানে খেলছেন নাজমুল । ৩ চারে ৬০ বলে জাকের আলীর রান ২১।  

সংক্ষিপ্ত স্কোরবাংলাদেশ: ১৯১ ও ৫৭ ওভারে ১৯৪/৪ (সাদমান ৪, মাহমুদুল ৩৩, মুমিনুল ৪৭, নাজমুল ৬০*, মুশফিক ৪, জাকের ২১*; মুজারাবানি ৩/৫১, নিয়াউচি ১/২৮)।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৭৩।
(তৃতীয় দিন শেষে)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূত রাখার সুযোগ পাচ্ছে তালেবান
  • জুমে ভুয়া সাক্ষাৎকারের ফাঁদ
  • রূপগঞ্জে প্রবাসী রায়হান হত্যা মামলার পলাতক ৩ আসামি গ্রেপ্তার
  • পারভেজ হত্যা মামলার আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
  • চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা
  • হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে টেস্টের নিরাপত্তা কর্মকর্তা
  • ৮০ টাকা বেতনে বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চাকরি, এরপর যেভাবে বিশ্বখ্যাত নির্মাতা হয়ে ওঠেন সত্যজিৎ
  • ‘র‍্যানডম’ কাজটি হয়ে গেছে: মৌসুমী নাগ
  • আমার ব্রেনে এই শহরে কোনো কাজ হয়নি: কেসিসির পরিকল্পনা কর্মকর্তা
  • তৃতীয় দিনটা বৃষ্টি আর নাজমুলের