চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। এই সাত মাসে যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে, সেসবের মধ্যে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরের অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে যেসব দেশ থেকে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে, সেগুলোর মধ্যে শীর্ষ ১০ দেশ হলো— যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, ওমান, কাতার এবং সিঙ্গাপুর।

প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ১১ লাখ ডলার। তা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার বা ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ২৯১ কোটি ২৮ লাখ ডলার।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ২৯০ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ১৪৭ কোটি ২৮ লাখ ডলার, সৌদি আরব থেকে এসেছে ১৯৯ কোটি ৩২ লাখ ডলার, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছে ২২৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, মালয়েশিয়া থেকে এসেছে ১৪১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, কুয়েত থেকে এসেছে ৮৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার, ইতালি থেকে এসেছে ৯১ কোটি ১০ লাখ ডলার, ওমান থেকে এসেছে ৮২ কোটি ২৬ লাখ ডলার, কাতার থেকে এসেছে ৬৩ কোটি ৮ লাখ ডলার এবং সিঙ্গাপুর থেকে এসেছে ৪৮ কোটি ২৭ লাখ ডলার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৫২ শতাংশ রেমিট্যান্স এসেছে ঢাকা বিভাগে। এর পরেই চট্টগ্রামের অবস্থান। চট্টগ্রাম বিভাগে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬ শতাংশ। রেমিট্যান্স আসার দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে সিলেট। সিলেট বিভাগে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ শতাংশ।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ম ট য ন স এস ছ

এছাড়াও পড়ুন:

এ বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮% হতে পারে: আইএমএফ

চলতি বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

আজ মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক, এপ্রিল ২০২৫–এ এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক–আইএমএফের বসন্তকালীন যৌথ সভার দ্বিতীয় দিনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো। আইএমএফ সাধারণত পঞ্জিকাবর্ষ ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে থাকে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের প্রাপ্ত উপাত্ত ধরে দেশভিত্তিক তথ্যও হালনাগাদ করেছে আইএমএফ। সেখানে বাংলাদেশের জন্য ২০২৫ সালের জিডিপির নতুন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর (২০২৬) প্রবৃদ্ধি বেড়ে সাড়ে ৬ শতাংশ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।

কয়েক দিন আগে আরেক দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছিল, বাংলাদেশের চলতি অর্থবছরে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে। আইএমএফ জিডিপির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আরও কমিয়ে দিল।

এদিকে আইএমএফ আরও বলছে, চলতি বছরে বাংলাদেশে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হবে।

গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত মার্চে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এক বছর ধরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ।

আইএমএফের নতুন পূর্বাভাস অনুসারে, বৈশ্বিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। আর এশিয়ার গড় জিডিপি হতে পারে সাড়ে ৪ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক–আইএমএফের বসন্তকালীন সভা ২১ এপ্রিল শুরু হয়ে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল এই যৌথ সভায় অংশ নিচ্ছে। সভা চলাকালে বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুত আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে। সম্প্রতি আইএমএফ মিশন বাংলাদেশে এসে ঘুরে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চলতি অর্থবছরে চরম দারিদ্র্য বাড়তে পারে: বিশ্ব ব্যাংক
  • রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে
  • আইএমএফ ও এডিবির চেয়ে কম প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিল বিশ্বব্যাংক
  • সরকারি অনুদানের সিনেমা জমা দেওয়ার সময় বাড়লো
  • যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তির শর্ত প্রস্তুত, আজ থেকে আলোচনা
  • চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৮ শতাংশ
  • এ বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮% হতে পারে: আইএমএফ
  • সার কেনাসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুই প্রস্তাব অনুমোদন
  • অর্ধবার্ষিকে হামিদ ফেব্রিক্সের লোকসান বেড়েছে ১২৬১.৯০ শতাংশ
  • ১৫% নগদ লভ্যাংশ দেবে ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স