মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইসমাইলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু
Published: 4th, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। তার সাবেক সহকারীদের কাছ থেকে ১৭০ মিলিয়ন রিঙ্গিত ও ১৬ কেজি সোনার বার জব্দ করেছে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)।
এমএসিসির বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার মিডিয়াগুলো জানিয়েছে, এই তদন্ত সাবরি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে প্রচারণা ও জনসংযোগের জন্য বরাদ্দ তহবিল এবং ব্যয়ের কাজে ব্যবহৃত। তদন্তটি মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন আইনের ২০০৯ এবং অর্থপাচার, সন্ত্রাসী অর্থায়ন ও অবৈধ সম্পদের আইন ২০০১-এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
মালয় মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর এমএসিসি সাবরিকে তার সম্পদের হিসাব দিতে বলেছিল এবং তিনি ২০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে তার সম্পদের হিসাব দেন। নতুন তথ্যের ভিত্তিতে, মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) ইসমাইল সাবরির সাবেক চারজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে।
তাদের বাসভবন এবং আরও তিনটি স্থানে তল্লাশি চালিয়ে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন মুদ্রায় প্রায় ১৭০ মিলিয়ন রিঙ্গিত নগদ জব্দ করেছে যার মধ্যে বাহাত, রিয়াল, পাউন্ড স্টার্লিং, ওন, ইউরো, সুইস ফ্রাঙ্ক এবং ইউয়ানও রয়েছে। এছাড়াও ১৬ কেজি বিশুদ্ধ সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭ মিলিয়ন রিঙ্গিত।
দেশটির সরকারি নিউজ এজেন্সি বারনামা জানিয়েছে, ইসমাইল সাবরিকে ১৯ ফেব্রুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তদন্তকারীরা প্রয়োজনে তাকে আবার তলব করতে পারে। এছাড়া তদন্তের জন্য প্রায় ১০ জন সাক্ষীকে ডাকা হতে পারে। এমএসিসি নিশ্চিত করেছে যে, এই তদন্ত সম্পূর্ণ স্বাধীন ও পেশাদারি ভাবেই পরিচালিত এবং আইনের পূর্ণ অনুসরণ করে করা হচ্ছে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের যেকোনো পদক্ষেপে সমর্থন রয়েছে বিরোধী দলের: রাহুল গান্ধী
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারত সরকার যে পদক্ষেপই নেবে, তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বিরোধী দলের। বৃহস্পতিবার দেশটির সংসদ ভবনে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে এমন কথা জানান লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকে গোয়েন্দা-ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিয়েছে মোদি সরকার।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি ফিরুক।
গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।