হলিউড অভিনেতা কিরান কালকিন। ব্যক্তিগত জীবনে জ্যাজের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এই অভিনেতা। তাদের সংসার আলো করে জন্ম নিয়েছে দুই সন্তান। কিন্তু কিরান চার সন্তানের বাবা হতে চান। এতে শর্ত জুড়ে দেন তার স্ত্রী। জ্যাজের শর্ত ছিল— কিরান অস্কার পুরস্কার জিতলে চতুর্থ সন্তান উপহার দেবেন তিনি। 

কিরান কালকিন স্ত্রী শর্ত পূরণ করেছেন। কারণ ‘আ রিয়েল পেইন’ সিনেমার জন্য সেরা সহ-অভিনেতা বিভাগে অস্কার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ৯৭তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের পুরস্কার গ্রহণের পর স্ত্রীর শর্তের কথা বিশ্ব মঞ্চে স্মরণ করেন এই অভিনেতা।  

কিরান কালকিন বলেন, “এক বছর আগে বলেছিলাম, আমি তৃতীয় সন্তান চাই। সে বলেছিল, ‘তুমি যদি এমি অ্যাওয়ার্ড জিতে যাও তবে তোমাকে সন্তান উপহার দেব।’ আসলে সে ভাবতে পারেনি আমি এটা জিতে যাব।”

আরো পড়ুন:

অস্কার: সেরা সিনেমা ‘আনোরা’

অস্কারে বাজিমাত করলেন যারা

‘সাকসেশন’ সিরিজে অভিনয়ের জন্য এমি অ্যাওয়ার্ড জিতেন কিরান কালকিন। এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে স্ত্রী জ্যাজকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে কারপার্কিংয়ে যখন হাঁটছিলেন, তখন স্ত্রীকে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন।

স্মৃতিচারণ করে কিরান বলেন, “সেই সময়ে জ্যাজকে বলেছিলাম, ‘আমি চারটি চাই।’ সে আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিল, ‘ঈশ্বরের কসম এটা ঘটবে। আমি তোমাকে চারটি সন্তান উপহার দেব, যদি তুমি অস্কার পুরস্কার পাও।”

কিরানের কথা শুনেই উপস্থিত অতিথিরা হাসতে থাকেন। এরপর কিরান বলেন, “জ্যাজ, তোমাকে বলতে চাই— আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমরা অল্প বিশ্বাসের মানুষ। কোনো চাপ নেবে না।”

তথ্যসূত্র: ইয়াহু ডটকম

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র বল ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় চাপাতিসহ তিন ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

বগুড়ায় চাপাতিসহ তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের কলোনি বটতলা ও সদর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি ধারালো চাপাতি ও ছিনতাই করা নগদ ১৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার লতিফপুর মধ্যপাড়া এলাকার আজিজ শেখের ছেলে আরিফ শেখ, চকফরিদ কলোনির আব্দুল খালেক বাদলের ছেলে তারিকুল ইসলাম তারেক এবং একই উপজেলার গন্ডগ্রামের খোরশেদ আলম বুদুর ছেলে জাহিদ হোসেন।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহরের চকফরিদ কলোনির ফাতেমা কোর্টেজের সামনে যমুনা গ্যাস সিলিন্ডারের ডিলার মোছা. আম্বিয়া খাতুনের ম্যানেজার মো. তারেকের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল ছিনতাইকারী। তারা ম্যানেজারকে ছুরিকাঘাত করে ৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পরদিন বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশ এ ঘটনায় প্রথমে বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের কলোনি বটতলা এলাকা থেকে আরিফ শেখকে গ্রেপ্তার করে। তার প্যান্টের কোমরের পেছনে লুকানো অবস্থায় ১৫ ইঞ্চি লম্বা একটি ধারালো চাপাতি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওইদিন রাতেই সদর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ১৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

বগুড়া ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ