সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগে ট্রুডো, রাজা চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ
Published: 4th, March 2025 GMT
কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর উদ্বেগ বাড়ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার ইচ্ছা পোষণের পর তাঁর এ উদ্বেগ বেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে আলোচনা করছেন। গতকাল সোমবার ট্রুডো বলেন, রাজা চার্লসের সঙ্গে আলোচনায় তাঁর অগ্রাধিকার থাকবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়টি। গতকালই তাঁর চার্লসের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা। রাজা চার্লস কানাডার রাষ্ট্রীয় প্রধান।
মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের রাজা হিসেবে অভিষেক ঘটে চার্লসের। শুধু যুক্তরাজ্য নয়, সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ বা কমনওয়েলথভুক্ত আরও ১৪টি দেশের রাজা তৃতীয় চার্লস। এগুলো হলো কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, ব্রাহামাস, বেলিজ, গ্রেনাডা, জ্যামাইকা, পাপুয়া নিউগিনি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, টুভালু, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাদাইন।
ট্রুডো বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের কাছে সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ানোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই।’
ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি রাজার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করছি। বরাবরের মতোই আমরা কানাডা ও এর নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। কানাডিয়ানদের কাছে সার্বভৌমত্ব ও জাতি হিসেবে স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ানোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই।’
ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তা প্রত্যাখ্যান করে আসছেন ট্রুডো। কানাডার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো গত মাসে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে তাঁর দেশের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে যা বলেছেন, তা তিনি ‘বাস্তবিকই’ চান। আর তাঁর এ চাওয়ার সঙ্গে আসলে কানাডার প্রাকৃতিক সম্পদ–সম্পর্কিত।
৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত জানুয়ারি মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। জনমত জরিপে দলের বাজে অবস্থা উঠে আসার পর দায়িত্ব ছাড়তে চাপে ছিলেন তিনি।
ট্রাম্প বারবার বলে আসছেন, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যায়, সেটা তাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে। ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেওয়ার পর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লেখেন, প্রতিবেশী দেশ কানাডার অনেক বাসিন্দা চান, তাঁদের দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করা হোক। কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত হয়, তাহলে দেশটিকে কোনো বাণিজ্য শুল্ক দিতে হবে না, করের পরিমাণও কমবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগে ট্রুডো, রাজা চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ
কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর উদ্বেগ বাড়ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার ইচ্ছা পোষণের পর তাঁর এ উদ্বেগ বেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে আলোচনা করছেন। গতকাল সোমবার ট্রুডো বলেন, রাজা চার্লসের সঙ্গে আলোচনায় তাঁর অগ্রাধিকার থাকবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়টি। গতকালই তাঁর চার্লসের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা। রাজা চার্লস কানাডার রাষ্ট্রীয় প্রধান।
মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের রাজা হিসেবে অভিষেক ঘটে চার্লসের। শুধু যুক্তরাজ্য নয়, সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ বা কমনওয়েলথভুক্ত আরও ১৪টি দেশের রাজা তৃতীয় চার্লস। এগুলো হলো কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, ব্রাহামাস, বেলিজ, গ্রেনাডা, জ্যামাইকা, পাপুয়া নিউগিনি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, টুভালু, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাদাইন।
ট্রুডো বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের কাছে সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ানোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই।’
ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি রাজার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করছি। বরাবরের মতোই আমরা কানাডা ও এর নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। কানাডিয়ানদের কাছে সার্বভৌমত্ব ও জাতি হিসেবে স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ানোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই।’
ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তা প্রত্যাখ্যান করে আসছেন ট্রুডো। কানাডার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো গত মাসে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে তাঁর দেশের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে যা বলেছেন, তা তিনি ‘বাস্তবিকই’ চান। আর তাঁর এ চাওয়ার সঙ্গে আসলে কানাডার প্রাকৃতিক সম্পদ–সম্পর্কিত।
৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত জানুয়ারি মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। জনমত জরিপে দলের বাজে অবস্থা উঠে আসার পর দায়িত্ব ছাড়তে চাপে ছিলেন তিনি।
ট্রাম্প বারবার বলে আসছেন, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যায়, সেটা তাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে। ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেওয়ার পর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লেখেন, প্রতিবেশী দেশ কানাডার অনেক বাসিন্দা চান, তাঁদের দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করা হোক। কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত হয়, তাহলে দেশটিকে কোনো বাণিজ্য শুল্ক দিতে হবে না, করের পরিমাণও কমবে।