ট্রলি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বাবা, চাকার নিচে পড়ে প্রাণ গেল ছোট্ট মুরসালিনের
Published: 4th, March 2025 GMT
নাটোরের লালপুরে বাবার ইঞ্জিনচালিত ট্রলির চাকার নিচে পড়ে মুরসালিন হোসেন (৩) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে লালপুর উপজেলার কাজিপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মুরসালিন হোসেন ওই গ্রামের পিন্টু মণ্ডলের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে বাবা পিন্টু ট্রলি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় শিশু মুরসালিন ট্রলির শব্দ শুনে বাবাকে দেখার জন্য বাড়ির সামনে গেলে ট্রলির চাকার নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে জানাজা শেষে শিশুটিকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ঘটনার পর বাবা পিন্টু মণ্ডল আহাজারি করে বলছিলেন, ‘আমি এমন একজন হতভাগা বাবা। আমার নিজের ট্রলিতে আমার বুকের ধনের মৃত্যু হলো। এই কষ্ট আমি কোনো দিন ভুলতে পারব না।’
লালপুর থানার (ওসি) নাজমুল হক বলেন, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুটির মরদেহ স্বজনদের কাছে দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
সাত বছর ধরে হেলিকপ্টার বানাচ্ছেন রাজমিস্ত্রী আরিফুল, তিন সপ্তাহের মধ্যে ওড়ানোর স্বপ্ন
শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের মাটিয়ান গ্রামের রাজমিস্ত্রী আরিফুল ইসলাম হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সাত বছর ধরে একটি হেলিকপ্টার তৈরি করায় এ নিয়ে এলাকায় তাঁকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হেলিকপ্টার তৈরির কাজ শেষ করে তা আকাশে ওড়াতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।
আরিফুল মাটিয়ান গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেনের ছেলে। বাড়িতে ছোট্ট একটি ঘরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে হেলিকপ্টার। আশেপাশে পড়ে রয়েছে নানা সরঞ্জাম। হেলিকপ্টার তৈরির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ২০১৮ সাল থেকে সাত বছর ধরে দৈনিক আয়ের কিছু অংশ থেকে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন তিনি। এ পর্যন্ত তাঁর প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাঁকি কাজ সম্পূর্ণ করতে আরও ৫০ হাজার টাকার দরকার বলে জানান তিনি। টাকার ব্যবস্থা হলে আগামী ২০ দিনের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ শেষ করে হেলিকপ্টারটি আকাশে উড়াতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি।
মাটিয়ান গ্রামের জাকারিয়া জুয়েল বলেন, ছোটবেলা থেকে আরিফুল অনেক কিছু তৈরি করতেন। দরিদ্র আরিফুল তাঁর উপার্জনের টাকা দিয়ে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু তৈরি করতে পারবেন।
আরিফুলের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, এক মেয়েকে নিয়ে অতি কষ্টে আমরা জীবনযাপন করি। আমার স্বামী তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে উপার্জনের টাকা ব্যয় করে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। এতে আমাদের কষ্ট হলেও আমরা খুশি।
কিচক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, হেলিকপ্টার তৈরির বিষয়টি আমি জেনেছি। আমরা তাঁর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, হেলিকপ্টার তৈরি করায় আমরা তাঁকে সাধুবাদ জানাই। এ কাজে উৎসাহ যোগাতে প্রয়োজনে তাঁকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে। হেলিকপ্টার দেখার জন্য প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে শতশত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।