কারাগারের ভেতর সাবেক চেয়ারম্যানের কাছে মিলল ইয়াবা
Published: 4th, March 2025 GMT
বাগেরহাট কারাগারে বন্দি কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুর কাছ থেকে তিন পিস ইয়াবা জব্দ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে বাবুর ব্যাগ তল্লাশি করে এই মাদক জব্দ করে তারা। এ ঘটনায় বাবুসহ চার কারাবন্দিকে শাস্তি হিসেবে ডান্ডাবেড়ি পড়ানো হয়।
বাগেরহাট কারাগারের জেল সুপার শংকর কুমার মজুমদার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
পটুয়াখালীতে ইয়াবা ও ১৬ মাদক পারচারকারী আটক
টেকনাফে ২ লাখ ইয়াবাসহ ৭ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
ডান্ডাবেড়ি পড়ানো অন্যরা হলেন- বাদল শেখ, ইউসুফ শিকদার ও জসিম সরদার।
জেল সুপার শংকর কুমার মজুমদার বলেন, “সন্দেহ হলে কারারক্ষীরা বিষয়টি আমাদের জানায়। পরে মেহেদী হাসান বাবুর ব্যাগ তল্লাশি করে তিন পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে জেলকোড অনুযায়ী, মেহেদী হাসান বাবুসহ চারজনকে ডান্ডাবেড়ি দেওয়া হয়েছে।”
কারাগারের অভ্যন্তরে কীভাবে ইয়াবা প্রবেশ করল এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেননি জেল সুপার শংকর কুমার মজুমদার।
কারাগারের সিআইডি (কারা গোয়েন্দা) হিসেবে দায়িত্বে থাকা আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আইজি স্যারের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারবেন না বলে জানিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, গেল ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে পটুয়াখালীর লেবুখালীতে পায়রা সেতুর টোল প্লাজা থেকে কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২৮ ডিসেম্বর থেকে কচুয়ার একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক রাজনৈতিক মামলায় তিনি কারাগারে রয়েছেন। অসুস্থতার কারণে খুলনায় চিকিৎসা শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট আদালতে মামলার হাজিরা শেষে বিকেলে কারাগারে নেওয়া হয় মেহেদী হাসান বাবুকে।
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘নীতিবহির্ভূত কাজের’ কারণে কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী দুই নেতাকে অব্যাহতি
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার সদস্যপদ বাতিলসহ সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাঁদের জায়গায় অন্য দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার মুখপাত্র পারভেজ মোশাররফ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার এক জরুরি সভা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়। সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ ও নীতিবহির্ভূত কাজে যুক্ত থাকায় এবং জনসাধারণের অনাস্থার কারণে আশিক খান ও আসাদুজ্জামানকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সংগঠক আশিক খান ও কুমারখালী উপজেলা শাখা কমিটির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান খান আলী। আশিক খানের পদের স্থলে আমির হামজাকে সংগঠকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমির হামজা সংগঠনটির সদস্য ছিলেন। আর আসাদুজ্জামানের স্থলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আতিকুজ্জামান তালহা নামের একজনকে।
মুখপাত্র পারভেজ মোশাররফ বলেন, আশিক ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছিল, তা খুবই দুঃখজনক। সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সত্যতা পাওয়ায় কেন্দ্রে কথা বলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।