গাজীপুরের শ্রীপুরে মিনিবাস থেকে অটোরিকশা চালককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন নিহতের স্বজন ও সহকর্মীরা।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় দোষীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন নিহতের স্বজনরা। এসময় মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তাদের অভিযোগ, ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাস থেকে রিটন মিয়া নামে এক অটোরিকশা চালককে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও মহাসড়কে নিরাপদে যানচলাচলের দাবি জানান। সাড়ে ৩ ঘণ্টার অবরোধে মহাসড়কের দুদিকের অন্তত ১০ কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, অবরোধকারীদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাতে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের হেলপারের সঙ্গে বাড়তি ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় রিটন মিয়া নামের এক অটোরিকশা চালকের। কথা কাটাকাটির সময় হেলপারের ধাক্কায় বাস থেকে পড়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় অটোচালক ও স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

নিহত অটোরিকশা চালক রিটন মিয়া গাজীপুর সদরের শিরির চালা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

পুরান ঢাকায় জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আহত ৭

পুরান ঢাকার ধোলাইখাল এলাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন বিএনপি নেতাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার (৩ মার্চ) মধ্য রাতে এ হামলায় সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। 

সোমবার রাতে জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সম্রাটকে মারধর করা হয়। সম্রাটকে ছাড়িয়ে আনতে ঘটনাস্থলে গেলে ইতিহাস বিভাগের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাবিবকে আটকে রাখেন বিএনপি নেতা শহীদুল হক সহিদ ও তার লোকজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে স্থানীয়দের হামলায় জবির আরো কয়েক জন শিক্ষার্থী আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সম্রাট ধোলাইখাল এলাকায় একটি মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভুলক্রমে ঢালাইয়ের ওপরে পা দেন। স্থানীয় লোকজন এসে তাকে ধাক্কা দিলে তিনি প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষার্থীকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের মোবাইল ফোনে কল দিলে হাবিবসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে আসেন। স্থানীয় লোকজন তাদের ওপরও হামলা চালান এবং হাবিবকে গোয়ালঘাট যুব সংঘ নামে একটি ক্লাবে আটকে রাখেন। ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রথমে সালাউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাবিবকে উদ্ধার করা জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, “আমি খবর পেয়ে টিপু সুলতান রোডে আসি। সেখানে টহলে থাকা পুলিশকে নিয়ে গোয়ালঘাট লেনে এসে একটি ক্লাবে অনেক জনের ভিড় দেখে সেখানে যাই। সেখানে হাবিবকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। আমরা জিজ্ঞেস করলে স্থানীয়রা বলেন, আগে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাবিবকে সালাউদ্দিন মেডিকেল ও পরে ন্যাশনাল মেডিকেলে নেওয়া হয়।”

তিনি আরো বলেন, “আমি ন্যাশনাল মেডিকেলে থাকার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় সেখানে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।”

আহতরা হলেন—ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ ১৯তম ব্যাচের আবু বকর সিদ্দিক, আইন বিভাগের ১৬তম ব্যাচের আকাশ ও আবু সাঈদ মো. আকিব এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আল মামুন। অন্য এক জনের নাম জানা যায়নি।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের মধ্যে বিএনপি ও যুবদলের লোক ছিলেন। তারা স্থানীয়দের নিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। হামলাকারীদের অন্যতম শহীদুল হক সহিদ। তিনি ওয়ারি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং নবাবপুর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

হামলার বিষয়টি ফেসবুকে ছড়ানোর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী পুরান ঢাকার নবাবপুর এলাকার একটি ক্লাব ভাঙচুর করেন। রাত ১টার দিকে ওয়ারি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে তল্লাশি করলে বিএনপি নেতা শহীদুল হক সহিদকে তার বাসায় পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/লিমন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ