শ্রীপুরে অটোরিকশাচালককে হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
Published: 4th, March 2025 GMT
অটোরিকশাচালককে হত্যার প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে বেতঝুড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয় লোকজন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাঁরা এই অবরোধ শুরু করেন।এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় সকাল সাড়ে ১০টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছিল।
ওই অটোরিকশাচালকের নাম রিটন মিয়া (৩৫)। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা গ্রামের মো.
সরেজমিন দেখা যায়, শ্রীপুর পৌর এলাকার বেতঝুড়ি গ্রামে মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক শ লোকজন হাতে লাঠি নিয়ে সড়কের ওপর অবস্থান করছেন। তাঁরা এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে এর দ্রুত বিচার দাবি করে মিছিল করছিলেন। শ্রীপুর থানা-পুলিশ ও মাওনা হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন।
সড়কে অবস্থান নেওয়া নিহত রিটন মিয়ার ভাতিজি তাসলিমা খাতুন বলেন, তাঁর চাচা মহাসড়কে অটোরিকশা চালান। গতকাল তাকওয়া পরিবহনের একটি বাস ওই অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার কাঁচ ভেঙে যায়। জরিমানা আদায়ের জন্য তাঁর চাচা দৌড়ে বাসের সামনে দাঁড়ান। এ সময় তাকওয়া পরিবহনের ভেতরে থাকা চালক ও সহকারী মিলে তাঁর চাচাকে জোর করে বাসে তুলে নেন। ভেতরে রেখেই ব্যাপক মারধর করেন। একপর্যায়ে তাঁকে হত্যা করে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেন, ওই ঘটনায় বাস ও এর চালককে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা নিচ্ছে না পুলিশ।
নিহত রিটন মিয়ার আরেক স্বজন মিজানুর রহমান বলেন, জরিমানা চাওয়ার কারণে তাকওয়া পরিবহনের লোকজন রিটনকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় মামলা নিয়ে বিচারের আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা সড়ক ছেড়ে যাবেন না।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর বহন র অবর ধ ল কজন ত কওয়
এছাড়াও পড়ুন:
গৃহকর নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে বাসিন্দাদের হট্টগোল
গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) ধার্যের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে হট্টগোল করেছেন অঞ্চল-৭-এর আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানির শেষের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি শেষ করে ওই অঞ্চলের চারটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সেখানে গৃহকর কীভাবে আদায় হবে, কী ছাড় পাওয়া যাবে—এসব বিষয়ে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বলা হয়। হট্টগোলকারীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রশাসকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
গণশুনানিতে দেখা যায়, নাগরিক সেবা নিয়ে চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন সংকট, সমস্যা ও অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা ২০১৮ সাল থেকে নয়, ২০২৪ সাল থেকে গৃহকর পরিশোধ করবেন। প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বাসিন্দাদের বলা অভিযোগগুলোর সমাধান, পদক্ষেপ ও করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিয়ে বাসিন্দাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন।
প্রশাসকের বক্তব্য ছিল, আইন অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকেই গৃহকর পরিশোধ করতে হবে। তবে গৃহকরের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক বাতি বাবদ যে কর আদায় করা হয়, সেই ৫ শতাংশ কর আপাতত আদায় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিধিমালা অনুযায়ী গৃহকরে একজন গ্রাহক যেসব ছাড় পান, সেসব ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলেও জানান। সেই হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে যে টাকা কর আসবে, ২০১৮ থেকে একই পরিমাণ কর দিতে হবে।
কিন্তু প্রশাসকের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি শুনানিতে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে এর প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সামনের সারিতে বসা কিছু ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে মঞ্চে থাকা প্রশাসকের সামনে গিয়ে বলতে থাকেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানেন না। তাঁরা ২০২৪ সাল থেকেই কর দেবেন।
মিনিট পাঁচেক এমন হট্টগোল আর চেঁচামেচি চলে। ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত হওয়া ব্যক্তিদের শান্ত করেন।
ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত ব্যক্তিদের শান্ত করার চেষ্টা করেন